পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়া অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের মামলায় জামিন পেয়েছেন ভারতীয় নাগরিক সখিনা বেগম (৬৮)।
রবিবার (২৩ নভেম্বর) শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন আদালত।
এ সময় সখিনা বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আগামীকাল (২৪ নভেম্বর) তিনি কারামুক্ত হবেন।
আসামি সখিনা বেগমের পক্ষে তার আইনজীবী রহমাতুল্যাহ সিদ্দিক জামিন চেয়ে শুনানি করেন।
তিনি বলেন, ‘জামিন শুনানির জন্য সখিনাকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানিতে আমরা বলেছি, এটা একটা জামিনযোগ্য ধারা। জামিন পেলে আসামি পালাবেন না। বিচারক জানতে চেয়েছেন, কার জিম্মায় জামিন দেবেন। আমরা বলেছি, ওনাকে গত চার–পাঁচ মাস যাঁরা রেখেছেন, ওনাদের অধীনে দেন।’
সখিনার খোঁজ পাওয়ার বিষয়ে ক্লান্তি আক্তার বলেন, সখিনার কাছ থেকে জানতে পেরেছেন ভারতের আসাম রাজ্যের বাসিন্দা তিনি। একদিন আসামে তাঁর বাসা থেকে সেখানকার পুলিশ সই করার কথা বলে তাঁকে থানায় নেয়। ওঁনার পরিবার থানায় গেলে তাদের চলে যেতে বলে। বলে, ওঁনার কাজ শেষ হলে বাসায় যাবে। ওই দিন রাতেই ২৫ থেকে ৩০ জনের সঙ্গে ওঁনাকে বাংলাদেশে পুশ ইন করা হয়। সেখান থেকে কয়েক সপ্তাহ এদিক–সেদিক ঘুরতে ঘুরতে ঢাকার ভাষানটেকে আসেন।
তিনি আরও বলেন, ‘মে মাসের চার তারিখ একটা দোকানে ওঁনাকে বসে থাকতে দেখি। ওঁনার অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। সেখান থেকে বাসায় আশ্রয় দিই।…আমরা বিষয়টি বিবিসির সাংবাদিককে জানাই। উনি রিপোর্ট করার পর পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। উনি আমাদের কাছে পাঁচ মাসের মতো ছিলেন।’
মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সখিনাকে ভাসানটেক থানার টিনশেড টেকপাড়া গলির মাথায় পাওয়া যায়। জিজ্ঞেস করা হলে তিনি নিজেকে ভারতের নাগরিক বলে দাবি করেন। এ ঘটনায় রাজধানীর ভাসানটেক থানায় তার বিরুদ্ধে পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়া অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য ‘দ্য কন্ট্রোল অব এন্ট্রি অ্যাক্ট, ১৯৫২’–এর অধীনে মামলাটি হয়।
উল্লেখ্য, সখিনা বেগমকে কয়েকমাস আগে ভারতের আসাম থেকে ধরে নিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেয় দেশটির সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিএএসএফ। এ নিয়ে বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর শোরগোল পড়ে যায়।
এসএ