রবিবার, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫
রবিবার, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫

বাংলাদেশের কাঁঠাল-পেয়ারা আমদানি করতে চায় চীন

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশ থেকে কাঁঠাল ও পেয়ারা আমদানি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন। চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশি কাঁচা আম আমদানি শুরুর পর এবার কাঁঠালপেয়ারা আমদানি করতে চায় দেশটি। এসব তথ্য জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর বসুন্ধরার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি (আইসিসিবি)-তে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশচীন গ্রিন টেক্সটাইল এক্সপো২০২৫এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, চীনের বাজারে ক্রমেই বাড়ছে বাংলাদেশি উন্নতমানের কৃষিপণ্যের প্রবেশ। চলতি বছরের মে মাসে বাংলাদেশের কাঁচা আমের প্রথম চালান সফলভাবে চীনে পৌঁছেছে। আমরা এখন কাঁঠাল ও পেয়ারা আমদানির প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে কাজ করছি।

রাষ্ট্রদূত জানান, চীন টানা ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে রয়েছে। বর্তমানে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। গত বছরের আগস্ট থেকে ২০টিরও বেশি চীনা কোম্পানি বাংলাদেশে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বলেও জানান তিনি।

ইয়াও ওয়েন আরও বলেন, চীন ২০২৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের শতভাগ করযোগ্য পণ্যের ওপর শূন্য শুল্ক সুবিধা দিচ্ছে। এটি উভয় দেশের টেকসই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির প্রতি বেইজিংয়ের অঙ্গীকারের প্রতিফলন।

তিনি জানান, বস্ত্র শিল্পে সবুজ রূপান্তর, জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি ও পরিবেশবান্ধব উপকরণ ব্যবহারে সহযোগিতা করতে চীন প্রস্তুত। একই সঙ্গে টেক্সটাইল যন্ত্রপাতি, ডিজিটাল প্রিন্টিং ও স্মার্ট উৎপাদন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।

এ রাষ্ট্রদূত ২০২৫ সালকে চীনবাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বর্ষপূর্তি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বছর বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, দুই দেশের বন্ধুত্ব সবসময় পারস্পরিক সহযোগিতা ও লাভজনক সম্পর্কের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে।

অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ সহসভাপতি (অর্থ) মিজানুর রহমান, বিটিএমসির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস. এম. জাহিদ হাসান, বিসিসিআই সভাপতি মো. খোরশেদ আলম, সিইএবি সভাপতি হান কুনসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

তিন দিনের এ প্রদর্শনীটি আয়োজন করেছে স্যাভর ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, যেখানে বাংলাদেশে চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন (সিইএবি) সহযোগী হিসেবে রয়েছে। কৌশলগত অংশীদার হিসেবে আছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এবং সাংহাই ক্লাইমেট উইক।

আরও পড়ুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More