কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম দিন দিন বেড়েই চলেছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাতে মানুষ অতিষ্ঠ। এবার কিশোর গ্যাং বন্ধের কড়া নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (১৯ মার্চ) র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র্যাব সদর দফতরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ নির্দেশ দেন তিনি।
অভিভাকদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কিশোর গ্যাং অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। এক্ষেত্রে বাবা–মা, শিক্ষক ও জনপ্রতিনিধিদেরও দায়িত্ব আছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অর্থনৈতিকভাবে যেমন স্বাবলম্বি হচ্ছি, তেমনি মাদকের প্রভাব বাড়ছে। জঙ্গি, সন্ত্রাস, কিশোর গ্যাং ও মাদকের বিরুদ্ধে সবারই সচেতন হওয়া উচিত। তরুণরা কাদের সঙ্গে মিশছে, সে বিষয়ে খোঁজ রাখা গুরুত্বপূর্ণ। সবারই এদিকে নজর রাখা দরকার। আমাদের আরও কাজ করা দরকার।’
যারা জঙ্গিবাদে যোগ দেয়, তাদের মোটিভেশন করা দরকার মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মূলধারায় পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জলদস্যু, বনদস্যু, জঙ্গিবাদ থেকে ফিরিয়ে আনলেই চলবে না, পুনর্বাসন করতে হবে। মোটিভেশন কাউন্সিল করতে হবে, যাতে আবার সেপথে ফেরত না যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি অভিভাবকদেরও এক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে।’
অন্যান্য বাহিনীর মতো র্যাবকেও ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে উন্নীত করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অন্যদের কথা শুনে কেউ মন খারাপ করবেন না। মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ যেমন অগ্নিসন্ত্রাস দমনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে র্যাব। আমরা চাই আমাদের দেশ শান্তিতে থাকবে, এগিয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। সাইবার ক্রাইমের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। ডিজিটাল করেছি মানুষের কল্যাণের জন্য, অকল্যাণের জন্য নয়।’