দুবাইয়ে আজ সুপার ফোরে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। জয়ী দল চলে যাবে এবারের আসরের ফাইনালে, আর হারলে দেশে ফেরার ফ্লাইট ধরতে হবে। তাই এমন অবস্থায়, ম্যাচটাকে অঘোষিত সেমিফাইনাল বলা হচ্ছে।
এর আগেও ২০১৬ ও ২০১৮ সালের এশিয়া কাপে, পরিস্থিতি ও পয়েন্ট টেবিলের হিসেবে একই সমীকরণের সম্মুখীন হয়েছিল দুদল। যেখানে চাপ সামলে দুইবারই বাঁধা পেরিয়ে, ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৬ সালের টি–টোয়েন্টি ফরমেটের আসরে, ৫ উইকেটের জয় পেয়েছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ। আর ২০১৮ সালের ওডিআই ফরমেটের আসরে আবুধাবিতে ৩৭ রানের জয় নিয়ে ফাইনালে উঠেছিল টাইগাররা। সেই ধারা বজায় রেখে এবারও এমনটাই প্রত্যাশা করতেই পারে টাইগার ভক্তরা।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দুদলই এবারের আসরে পারফর্মেন্সের বিচারে চড়াই উৎরাই পার করেছে সমান তালে। সুপার ফোরে দুদলই জয় তুলে নিয়েছে শ্রীলঙ্কার সাথে। আর হেরেছেও ভারতের কাছেই। দুদলের খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত পারফর্মেন্সেও রয়েছে মিল। বাংলাদেশের সাইফ হাসান ও পাকিস্তানের শাহিবজাদা ফারহান, দুই ওপেনারই এখন পর্যন্ত দুইদলের সফলতম ব্যাটসম্যান। সাইফের ব্যক্তিগত সংগ্রহ ৩ ম্যাচে ১৬০ রান। ফারহানের সংগ্রহ ৫ ম্যাচে ১৫৬ রান। দুইদলের বাকি ব্যাটারদের মধ্যে তাওহিদ হৃদয়, লিটন দাস, ফখর জামান, মোহাম্মদ হারিস দলের প্রয়োজনে কিছুটা অবদান রাখতে সফল হচ্ছেন।
অন্যদিকে বোলারদের মধ্যে টাইগাররা আস্থা রাখছে মুস্তাফিজ, রিশাদ, তাসকিন আহমেদের উপর। ৮ উইকেট নিয়ে এখন পর্যন্ত আসরের তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহ কাটার মাস্টার মুস্তাফিজের। আর পাকিস্তানের অলরাউন্ডার সায়েম আইয়ুব ৬ উইকেট নিয়ে আছেন তালিকার পাঁচ নম্বরে।
দুইদলের ২৫ বারের মুখোমুখিতে ৫ বার জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে সাম্প্রতিক পারফর্মেন্সের বিচারে নিজেদের সর্বশেষ দিপাক্ষিক সিরিজে ২–১ ব্যবধানের জয় বাড়তি আত্মবিশ্বাস যোগাবে টাইগারদের।
ইমাম/ দীপ্ত নিউজ