জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, দলগতভাবে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। বিচারের মধ্য দিয়েই তাদের বিষয়ে ফয়সালা করতে হবে।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে, সকালে ৪৭ নম্বর সাক্ষী হিসেবে তাকে জেরা করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় জেরা শেষে তিনি প্রেস ব্রিফিংয়ে আসেন।
এনসিপি আহ্বায়ক বলেন, নির্বাহী আদেশে আ. লীগকে নিষিদ্ধ করা কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। কেননা তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম অস্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই বিচারের আওতায় এনে দলগতভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। কারণ, অস্থায়ী সিদ্ধান্তে আ. লীগকে ট্যাকেল দেওয়া যাবে না। এছাড়া ফ্যাসিবাদের দোসরদেরও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা ট্রাইব্যুনালের কাছে আবেদন জানাব। আদালতের কাছে এখন যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ এসেছে। কারণ রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করতে, ক্ষমতায় টিকে থাকতে দলীয় প্রধান হিসেবে জনগণকে হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। তাই জনগণই প্রতিরোধ করে তাকে উৎখাত করেছেন। ফলে রাজনৈতিকভাবে এটা আওয়ামী লীগের দ্বারা সংঘটিত অপরাধ।
এর আগে, ১৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টা থেকে ট্রাইব্যুনালে ৪৭ নম্বর সাক্ষী হিসেবে দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য দেন এনসিপি আহ্বায়ক।