বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের অংশগ্রহণে ৭ দিনব্যাপী “অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫–৩” যৌথ মহড়া চলমান রয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আকাশ, স্থল ও যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার বিভিন্ন ধরণের মহড়া পরিচালনা করা হয়।
মহড়ার মাধ্যমে গুরুতরভাবে আহত রোগী পরিবহন এবং এক বিমান থেকে অন্য বিমানে রোগী স্থানান্তর অনুশীলন করা হয়। এ ধরনের অনুশীলনের মাধ্যমে জরুরী চিকিৎসা সহায়তা প্রদান, উড্ডয়নকালীন সমন্বয় রক্ষা এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা উন্নয়ন করা সম্ভব হবে।
এছাড়া, এই মহড়ার অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রমও পরিচালিত হচ্ছে, যার মাধ্যমে দুর্ঘটনা, প্রতিকূল আবহাওয়া অথবা যুদ্ধক্ষেত্রে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার প্রক্রিয়ায় সমন্বিত সহযোগিতা এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া প্রদানের সক্ষমতা অর্জিত হচ্ছে।
অন্যদিকে, স্থলভাগে যুদ্ধকালীন প্রস্তুতির জন্য কমব্যাট ট্র্যাকিং (Combat Tracking) ও সারভাইভাল এক্সারসাইজ (Servival Exercise) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কমব্যাট ট্র্যাকিং মহড়ায় মাধ্যমে শত্রু গতিবিধি শনাক্তকরণ, গোপন গতিবিধি অনুসরণ এবং কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন করার দক্ষতা অনুশীলন করা হচ্ছে।
সারভাইভাল অনুশীলনের মাধ্যমে প্রতিকূল ও প্রতিকূলতম পরিবেশে সীমিত সম্পদ ব্যবহার করে বেঁচে থাকার কৌশল, খাদ্য ও পানীয় সংগ্রহ, আত্মগোপন এবং শত্রু পরিবেষ্টন থেকে নিরাপদে মুক্ত হওয়ার কৌশল বিষয়ে বাস্তবভিত্তিক অভিজ্ঞতা অর্জন করা হচ্ছে।
এই মহড়ার অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাহিনীসমূহের জরুরী সঙ্কটকালীন পরিস্থিতি ও যুদ্ধকালীন অভিযানে একযোগে কাজ করার সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। ফলে এ মহড়া ভবিষ্যৎ যৌথ অপারেশন পরিচালনায় এক গুরুত্বপূণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।