নওগাঁর রাণীনগরের দেনমোহর জালিয়াতির মামলায় জামিন না মঞ্জুর করে কথিত কাজী বেলাল হোসাইনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৬মার্চ) নওগাঁর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত–১০ (রাণীনগর) এর বিচারক মো: ফয়সাল আহমেদ এই ঘোষনা দেন।
সম্প্রতি একটি যৌতুক মামলাকে কেন্দ্র করে দেনমোহর জালিয়াতি করার অভিযোগে নওগাঁর ১০নং আমলী আদালত রাণীনগর উপজেলার কথিত নিকাহ রেজিস্ট্রার দাবীকারী বেলাল হোসাইনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
আদালত মামলা আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য নওগাঁর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টগিকেশন (পিবিআই) কে রহস্য উদঘাটনের নির্দেশনা প্রদান করে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৩নং গোনা ইউপির বিদ্যুৎ এর মেয়ের সুইটি বানুর ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে ইসলামি শরিয়ত অনুসারে আত্রাই উপজেলার সাহাগোলা ইউপির মগড়াপাড়া গ্রামের মববুল হোসেনের ছেলে জেকের আলীর (৩৫) সাথে ২০২১ সালের মে মাসে বিয়ে রেজিস্ট্রেশন হয়।
সংসার জীবনে তাদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ার এক পযায়ে নওগাঁর ১০নং আমলী আদালতে জেকের আলী’র বিরুদ্ধে যৌতুক একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলায় দেখা যায়, কথিত নিকাহ রেজিস্ট্রার দাবীকারী বেলাল হোসাইন স্বাক্ষরিত সরবরাহকৃত সার্টিফাইড কপিতে মেয়েকে ২লক্ষ ৫০ হাজার টাকার দেনমোহর সম্বলিত কাবিননামা আর আসামী পক্ষ জেকের আলীকে দিয়েছেন ১লক্ষ ৫০হাজার টাকা।
দুই পক্ষের কাবিন নামার মধ্যে মিল না থাকায় গভীর রহস্য ও ষড়যন্ত্র আছে বলে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। পরে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোঃ ফয়সাল আহমেদ দেনমোহর জালিয়াতির রেজিস্ট্রার দাবীকারী বেলাল হোসাইনের বিরুদ্ধে নওগাঁর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টগিকেশনকে রহস্য উদঘাটনের নির্দেশনা প্রদান করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রুবেল বলেন, মহামান্য আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক আমি মামলার তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেই। সেই মামলার সুনানির তারিখ ছিল বৃহস্পতিবার। সেই মামলায় বেলাল জামিনের আবেদন করলে ওই আদালতের বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
অনু/দীপ্ত সংবাদ