থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টে আনুতিন চার্নভিরাকুল দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। ৫৮ বছর বয়সী অনুতিন ভুমজাইথাই পার্টির নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) তিনি থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এ নিয়ে দুই বছরের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো নতুন প্রধানমন্ত্রী পেলো দেশটি।
অনুতিন এর আগে উপপ্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে তিনি সম্ভবত সবচেয়ে বেশি পরিচিত ২০২২ সালে গাঁজা আইনসিদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য।
দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সদস্য পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে গত সপ্তাহে সাংবিধানিক আদালত প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেয়। মূলত সীমান্ত সংঘাত মোকাবিলায় কম্বোডিয়ার সঙ্গে নীতি লঙ্ঘনের দায়ে তাকে এ পদ থেকে অপসারণ করা হয়।
অনুতিনের ভুমজাইথাই পার্টি সিনাওয়াত্রাদের দল ‘ফিউ থাই‘ নেতৃত্বাধীন জোট থেকে সরে এসে সংসদে পর্যাপ্ত সমর্থন আদায় করে নেয়। এর মাধ্যমে তিনি প্রধানমন্ত্রীর আসন দখল করেন। তবে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কাটেনি।সাম্প্রতিক বছরগুলোতে থাইল্যান্ডে একের পর এক সরকার আদালতের রায় বা সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে।
এই পরিবর্তন সিনাওয়াত্রা পরিবারের জন্য বড় ধাক্কা। ২০০১ সালে পেতংতার্নের বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে থাই রাজনীতিতে পরিবারটির আধিপত্য ছিল স্পষ্ট।
বৃহস্পতিবার রাতে থাকসিনকে বহনকারী ব্যক্তিগত বিমান দেশ ছাড়ার পর ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। শুক্রবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি জানান, চিকিৎসার জন্য দুবাই গেছেন। তবে ৯ সেপ্টেম্বরের আদালতের শুনানিতে হাজির হতে তিনি দেশে ফিরবেন। ওই মামলায় তার কারাগারে ফেরার ঝুঁকি রয়েছে।
অতীতে সিনাওয়াত্রাদের জনমুখী নীতি নিম্নআয়ের জনগণের সমর্থন পেলেও, এসব নীতি ব্যাংককের রক্ষণশীল রাজতন্ত্রী অভিজাতদের সঙ্গে সংঘাত বাড়ায়।