বরেন্দ্র অঞ্চল নওগাঁর রাণীনগরে কাজে আসছে না কৃষি আবহাওয়ার পূর্বাভাস তথ্য বোর্ড। ইউনিয়নগুলোতে তথ্য বোর্ড থাকলেও তথ্য হালনাগাদ করা হয় না। চার বছর আগে স্থাপন করার পর থেকেই সেগুলো অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। যন্ত্রগুলো এবং তথ্য বোর্ড পড়ে থাকার ফলে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষকরা।
কৃষকরা বলছেন, কৃষি অফিসের কেউ তাদের আবহাওয়া বিষয়ে কোন পরামর্শ দেয় না। এ অঞ্চলের ইউনিয়ন পরিষদে স্থাপন করা কৃষি আবহাওয়া পূর্বাভাস বোর্ড, স্বয়ংক্রিয় বৃষ্টিপাত পরিমাপক যন্ত্র (রেইন গেজ মিটার) ও সৌরবিদ্যুতের প্যানেল অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে বছরের পর বছর। সচল বোর্ডগুলোতেও নিয়মিত তথ্য হাল-নাগাদ করা হয় না। যান্ত্রিক ত্রুটি এর জন্য দায়ী বলে স্থানীয় কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
নিয়ম অনুযায়ী, আগে ও পরের তিন দিনের কৃষিভিত্তিক আবহাওয়ার নানা তথ্য বোর্ডে হালনাগাদ থাকার কথা থাকলেও বরেন্দ্র অঞ্চলে সেটা কোনো দিনই সচল ছিল না।
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার কালীগ্রাম বক্তারপুর, বোয়ালিয়া ইউপিসহ বরেন্দ্র অঞ্চলের ২০-২৫টি ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখা গেছে তথ্য বোর্ডে তথ্য নেই। কোথাও কোথাও স্বয়ংক্রিয় বৃষ্টিপাত পরিমাপক যন্ত্র ও সৌরবিদ্যুতের প্যানেল অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে।
জেলা পর্যায়ে ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে যেখানে বেশিরভাগ কৃষক গ্রামের। তাহলে জেলা শহরের ডিজিটাল বোর্ড (এলইডি) কি কাজে আসবে সেটি নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। অনেক কৃষক যেখানে লেখাপড়া জানেন না বা কম জানেন, তারা বোর্ডে দেওয়া তথ্য পড়বেন কি করে এমন প্রশ্ন বিশেষজ্ঞদের।
রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন কৃষি আবহাওয়া ডিসপ্লে বোর্ডগুলো বর্তমানে অকেজো। এই বোর্ডগুলো মেরামত করেও কোন লাভ হবে না। এই বোর্ডগুলোর পরিবর্তে একদিন আগের কৃষি আবহাওয়া তথ্য সম্বলিত সয়ংক্রিয় ডিজিটাল বোর্ড যদি বিভিন্ন জনমুখর মোড়গুলোতে স্থাপন করা যায় তাহলে কৃষকরা অনেক উপকৃত হবেন।
এমি/দীপ্ত