বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার, আগস্ট ১২, ২০২৫
মঙ্গলবার, আগস্ট ১২, ২০২৫

জবি ছাত্রী অবন্তিকার মৃত্যু: মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ। এতে তার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকীকে (আম্মান) অভিযুক্ত করা হয়। তবে তদন্তে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় অপর আসামি জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

রবিবার (১০ আগস্ট) কুমিল্লার আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান।

তিনি জানান, অবন্তিকার মায়ের করা মামলায় দুজনকে আসামি করা হলেও তদন্তে জবির শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাসহ ২৩ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া অবন্তিকার মোবাইল ফোন থেকে প্রাপ্ত ছবি, স্ক্রিনশট, মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপের ক্ষুদে বার্তা এবং ফেসবুকে দেয়া ‘সুইসাইড নোট’ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ফরেনসিক রিপোর্টে আম্মানের পাঠানো মানসিক হয়রানিমূলক বার্তার প্রমাণ মিলেছে, যা অবন্তিকাকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করেছে।

গত বছরের ১৫ মার্চ রাতে কুমিল্লা নগরীর একটি ভাড়া বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন অবন্তিকা। এর আগে ফেসবুক পোস্টে শিক্ষক দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ করেন তিনি।

পরদিন ১৬ মার্চ তার মা তাহমিনা শবনম দুজনকে আসামি করে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের করেন।

অবন্তিকার মা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘মেয়ের মৃত্যুর নেপথ্যে জড়িতরা শাস্তি পাবে কিনা শুরু থেকেই সন্দেহ ছিল। যে জবি প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েও মেয়েকে বাঁচাতে পারিনি, সেই প্রশাসন কীভাবে দায় এড়াতে পারে?’

তিনি আরও বলেন, ‘অবন্তিকার মতো অসংখ্য মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়রানির শিকার হয়। কেউ নীরবে সহ্য করে, কেউ প্রতিবাদ করে মৃত্যুর মুখে পড়ে।’

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More