পটুয়াখালীতে শীতের তীব্রতা কিছুটা কমলেও ঘন কুয়াশার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত তিন দিন ধরে উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঘন কুয়াশা বিরাজ করছে, যার ফলে দিনের বেলায়ও সূর্যের দেখা মিলছে না। খুব ভোর থেকে বেলা অবধি কুয়াশায় ঢাকা থাকছে এই জনপদ। বেলা বাড়লেও কুয়াশার ঘনত্ব কমছে না।
ঘন কুয়াশার প্রভাবে সড়ক ও মহাসড়কগুলোতে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সকাল থেকে বেলা পর্যন্ত যানবাহনগুলো হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। নৌ–যান চলাচলেও প্রভাব পড়েছে। কুয়াশার কারণে লঞ্চ ও অন্যান্য নৌ–যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে, যা পণ্য পরিবহন ও যাত্রী চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি করছে।
অতি মাত্রার ঘন কুয়াশায় শীতকালীন সবজি চাষিদের জন্য বড় এক দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে তরমুজসহ অন্যান্য শীতকালীন শস্যের চাষীরা কুয়াশার প্রভাবে ক্ষতির শংকায় রয়েছেন। এছাড়া কুয়াশার কারণে এসব সবজি সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে পারছে না, এবং কৃষকদের উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পটুয়াখালী লঞ্চঘাট এলাকার শ্রমিক সোবাহান মিয়া বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চগুলো সঠিক সময় এসে পৌঁছাতে পারছে না। সকাল ৯টায় যে লঞ্চ আসার কথা ছিলো সেটি এসে পৌঁছেছে ৯টায়। যার কারণে আমরা শ্রমিকরা মালামাল ওঠানামা করানোর জন্য ঘাটে ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করেছি। কলাপাড়া বাস স্ট্যান্ডের বাস চালক সুমন মিয়া বলেন, এতো পরিমাণ কুয়াশা পড়েছে যে ১০ হাত সামনের জায়গাও দেখা যায় না। তাই খুবই ধীরগতিতে গাড়ী চালাতে হচ্ছে।
কলাপাড়ার টিয়াখালী ইউনিয়নের বালিয়াতলী সেতু সংলগ্ন এলাকার তরমুজ চাষী ইয়াসিন মিয়া বলেন, এ বছর তরমুজের বেশ ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু কয়েকদিন ধরে ব্যাপক কুয়াশা পড়ছে। এভাবে কুয়াশা ঝড়তে থাকলে গাছ পচে যেতে পারে।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার জাহান বলেন, আকাশ ঘন মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। তাই কুয়াশার ঘনত্ব বাড়ছে। আগামী এক সপ্তাহ জুড়ে কুয়াশার এ অবস্থা বিরাজ করতে পারে। তবে কুয়াশা কমলেও শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।