জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ছাত্রীদের আবাসিক হলের কক্ষ থেকে আশরাফুল ইসলাম পারভেজ ওরফে যাযাবর পারভেজ (৩১) নামে বহিরাগত এক যুবককে আটক করেছে হল কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল থেকে তাকে আটক করে কর্তৃপক্ষ।
আটক আশরাফুল ইসলাম চট্টগ্রাম আগ্রাবাদের ডাবলমুরিং থানার বাসিন্দা এবং তাঁর দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘হিম উৎসব’ অনুষ্ঠান উপলক্ষে সেখানে ঘুরতে এসেছিলেন।
হল কর্তৃপক্ষ, প্রক্টরিয়াল বডি এবং হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৫২তম ব্যাচের এক ছাত্রীর সঙ্গে হলে প্রবেশ করেন পারভেজ। এ সময় তাঁর কপালে টিপ, পরনে পালাজ্জো ও ঘোমটা দিয়ে মুখ ঢাকা ছিল। তাঁর পোশাক ও হাঁটার ধরন দেখে কয়েকজন ছাত্রীর সন্দেহ হলে বিষয়টি হল সুপারকে জানানো হয়। একপর্যায়ে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হল সুপারসহ কয়েকজন গিয়ে ওই ছাত্রীর কক্ষে পারভেজকে দেখতে পান। এরপর তাঁকে আটক করে হল প্রাধ্যক্ষ ও প্রক্টরিয়াল টিমের উপস্থিতিতে আশুলিয়া থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের হল সুপার নাদিয়া সুলতানা বলেন, ওই ছাত্রীর কক্ষে পুরুষের উপস্থিতি টের পেরে তাঁকে জানানো হয়। তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত ছাত্রীর কক্ষে গিয়ে ওই যুবককে (পারভেজ) খাটের ওপরে বসে থাকা অবস্থায় দেখা যায়।
আটকের পর পারভেজ বলেন, ‘আমরা দুজন ভালো দোস্ত। সাত বছরের বন্ধুত্ব।’
ওই ছাত্রীর সঙ্গে কোনো অনৈতিক সম্পর্ক নেই দাবি করে পারভেজ আরও বলেন, ‘হিম উৎসব উপলক্ষে ক্যাম্পাসে বেড়াতে এসেছি। হলে আসার সময় আমি কপালে টিপ পরে মুখ ও শরীরে চাদর মুড়িয়ে হলে প্রবেশ করি।’
এদিকে, নিজেকে বিবাহিত দাবি করে অভিযুক্ত ছাত্রী বলেন, ‘আমরা উভয়ই ভালো বন্ধু। হিম উৎসবে সে বেড়াতে এসেছিল। রাতে থাকার জায়গা না পাওয়ায় তাঁকে হলে নিয়ে এসেছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, আটক যুবককে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্ত ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।
উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন দিনব্যাপী হিম উৎসবের শেষ দিন ছিল ১৮ জানুয়ারি।
এসএ