ভারতে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) নিবন্ধিত পাঁচ রোহিঙ্গা নাগরিককে বাংলাদেশে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিজিবি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পাঁচ রোহিঙ্গা একই পরিবারের সদস্য এবং তারা ভারতের আসামের মাটিয়া শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছিলেন।
২২তম বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ব্যাটালিয়নের একটি টহল দল ৭ মে সকাল ৬টার দিকে কুড়িগ্রাম জেলার চরভুরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ভাওয়ালকুড়ি সীমান্তের নতুনহাট বাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করে।
আটকরা হলেন– মোহাম্মদউল্লাহ (৪৪), তার স্ত্রী রোমানা বেগম (৩৫), তাদের সন্তান তাহমিনা আক্তার (২০), রেদোয়ান (১৫) ও তাসমিনা আক্তার (১৩)।
পরিবারটি মূলত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বুথিডং জেলার কোয়াইংডং এলাকার বাসিন্দা। বিজিবি তাদের কাছ থেকে ইউএনএইচসিআর, নয়াদিল্লিতে ইস্যু করা পাঁচটি নিবন্ধন কার্ড উদ্ধার করেছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা বিজিবিকে জানিয়েছে, তারা দুই বছর আগে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে ভারতের আসামের মাটিয়া ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়।
৭ মে ভোরে বাংলাদেশ সীমান্তে পৌঁছালে বিজিবি তাদের আটক করে।
আটক রোহিঙ্গারা দাবি করেছেন যে, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাদের জোর করে বাংলাদেশে পুশ–ইন করেছে।
বিজিবি জানিয়েছে, তারা বর্তমানে বিষয়টি তদন্ত করছে এবং এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করছে।
এ বিষয়ে সোনাহাট আলফা কোম্পানির কমান্ডার সুবেদার মো. আইয়ুব হোসেন বলেন, ঘটনার পর সীমান্তে বিজিবি সদস্যরা সতর্ক রয়েছে।