দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর পর গ্রেপ্তার হলো সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবি সদস্য তুহিন রেজা।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) রাতে রাজধানীর তেজগাঁও রেলগেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশে একযোগে সিরিজ বোমা হামলা চালায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামায়তুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ–জেএমবি। দেশের ৬৩ জেলায় প্রায় ৫০০ বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। এতে নিহত হন ২ জন এবং আহত হন দুই শতাধিক মানুষ।
ওই বোমা হামলায় সারাদেশে ১৪৯টি মামলা করা হয়। যার একটি হয় ঝিনাইদহে। সে মামলার ১৪ জনের মধ্যে ১০ নম্বর আসামি তুহিন রেজাকে বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁও থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব–৩। এখনও একজন পলাতক রয়েছেন।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া তুহিন রেজা ২০০৪ সালে জেএমবি‘র ঝিনাইদহ সদর শাখায় সদস্য হিসেবে যোগদান করে।
র্যাব–৩–এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘যাকে আমরা ধরেছি সে বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করে ছিল। এর আগে সে খিলগাঁও, উত্তরা, মহাখালীতে ছিল। পরবর্তীতে সে তেজগাঁওয়ে বাসা নেয়। তেজগাঁও থেকে তাকে আমরা আটক করেছি।‘
র্যাব– ৩–এর অধিনায়ক আরও বলেন, ‘সে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভিডিও এডিটরের কাজ করতো।‘
ব্রিফিংয়ে র্যাব জানায়, নিজের অপরাধ আড়াল করতে নানা কৌশল নেয় সে। এভাবেই কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিও করে তুহিন।
এদিকে, গ্রেপ্তার তুহিন রেজা দীপ্ত টিভির একজন ভিডিও এডিটর হিসেবে কর্মরত থাকলেও তার মামলা এবং জঙ্গি সম্পৃক্তার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের জানা ছিল না। এমনকি দীপ্ত টিভিতে নিয়োগের আগে সে আরেকটি বেসরকারি টেলিভিশনসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েই মাত্র ৬ মাস আগে দীপ্ত টিভিতে কাজে যোগদান করে তুহিন রেজা।
তবে, তুহিন রেজার অপরাধের বিষয়টি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে দীপ্ত টিভি কর্তৃপক্ষ অফিসের নিয়ম অনুযায়ী দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে।
আফ/দীপ্ত নিউজ