হামাসের হামলায় ইসরায়েলে সাত শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। আর গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় নিহত হয়েছে চারশ‘র বেশি মানুষ।
ইসরায়েলের ভেতরে হামাসের হামলাকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ নিন্দা জানালেও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসী।
তৃতীয় দিনের মতো সোমবারও গাজায় বিমান হামলা জারি রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। রাতভর গাজার সরকারি ও সামরিক স্থাপনার পাশাপাশি বেসামরিক ভবনে হামলা হয়। বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করে চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহে বাধা তৈরির অভিযোগ উঠেছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে। এতে মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।
হামলার জবাবে গাজা থেকে ইসরায়েলের দক্ষিণের শহর আশকেলনে রকেট হামলা হয়েছে। হামাসের শনিবারের হামলার পর ইসরাইলে দক্ষিণাঞ্চলে একটি সংগীত উৎসবের ভেন্যু থেকে অন্তত ২৫০ জনের লাশ পাওয়া গেছে। ওই অঞ্চলে কমপক্ষে এক লাখ রিজার্ভ সেনা নামিয়েছে ইসরায়েল।
উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলের একটি সংগীত উৎসবে হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ঘটনাস্থল থেকে ২৫০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েল বলেছে দেশটিতে হামাসের হামলায় তাদের ৭০০’র বেশি নাগরিক মারা গেছে। আর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলায় তাদের ৪১৩ জনের বেশি নাগরিক নিহত হয়েছে। খবর বিবিসির।
ওদিকে, হামাসের শক্তির বলয় ভেঙে দেওয়ার লক্ষ্যে ব্যাপক সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এজন্য তৎপর রয়েছেন।
অন্যদিকে, জাতিসংঘ জানিয়েছে সংঘাতে এক লাখ ২৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর হারিয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৭৪ হাজার মানুষ বিভিন্ন স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে তেল আবিবকে আশ্বস্ত করে বিমানবাহী রণতরীসহ একাধিক যুদ্ধজাহাজ ইসরায়েল উপকূলে মোতায়েন করতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। হামাসের হামলার ভূয়সী প্রশংসা করে তাদের জন্য সহায়তার পরিমাণ দ্বিগুণ করার ঘোষণা দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসী।
এদিকে, হামাসের হামলার নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বন্ধু রাষ্ট্রের আলোচনায় শেষ হয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক। একে যুদ্ধাপরাধ বলেছেন ইসরায়েলের প্রতিনিধি।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ