সাদা বলের দুটি ও লাল বলের একটি ফরম্যাট মিলে ক্রিকেটের মোট তিন সংস্করণে এক পঞ্জিকাবর্ষে ৫০ ম্যাচ খেলার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে টিম টাইগার্স। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মত এই মাইলফলক গড়তে যাচ্ছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের পর রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ম্যাচ টি টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবে নাজমুল শান্তর দল। এ ম্যাচে মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে রেকর্ড ভাঙা গড়ার খেলায় মেতে উঠবে বাংলাদেশ।
২০২৩ সালে ইতোমধ্যেই ক্রিকেটের তিন সংস্করণ মিলিয়ে মোট ৪৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। নিজেদের ৩৭ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইতিহাসে এবারই প্রথম ম্যাচ খেলার দিক থেকে এক পঞ্জিকাবর্ষে হাফ সেঞ্চুরির ছোঁয়া পেতে যাচ্ছে টিম বাংলাদেশ। এর আগেই অবশ্য ২০২১ ও ২০২২ সালে সমান ৪৬ টি ম্যাচ খেলেছিল সাকিব–মুশফিকরা। আর এ বছর তো নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসেই নতুন মাইলফলক যোগ করলো ১৯৮৬ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা বাংলাদেশ।
এছাড়া এক পঞ্জিকাবর্ষে সব থেকে বেশি ম্যাচ খেলার বিশ্ব রেকর্ড ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে ১ এ থাকা ভারতের দখলে। ২০২২ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন সংস্করণ মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৭১টি ম্যাচ খেলে এই কীর্তি গড়ে ভারত। অবশ্য দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৫ ম্যাচ খেলার কীর্তিও ২০২৩ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশটির দখলেই। সেটিও তারা করেছে এ বছরেই। তৃতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলেছে ছয় বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। ২০০৯ সালে ৬১টি ম্যাচ খেলেছিল অজিরা।
চলতি বছর ৪টি টেস্ট ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ জিতেছে ৩ টি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কালকের ম্যাচ দিয়ে টি–টোয়েন্টির সংখ্যা দাঁড়াবে ১৪টি। এখন পর্যন্ত ১৩ টি টোয়েন্টি খেলে জয়ের দেখা পেয়েছে ১০ ম্যাচে।বিশ্বকাপের বছরে বাকি ৩২টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে টাইগাররা জিতেছে ১১ ম্যাচে।
আল/ দীপ্ত সংবাদ