স্বাধীনতার ৫২ বছরেও সব মুক্তিযোদ্ধার তালিকা চূড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি। এখনো ক, খ ও গ তালিকা পুরোপুরি নিষ্পন্ন না হওয়ায় ঘুরপাক খাচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতির বিষয়টি।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল– জামুকা বলছেন, আবেদনকারীদের শুনানি যাচাই–বাছাই শেষে, সমাধানের লক্ষ্যে কাজ চলছে।
মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হান্নান মিয়া বলেন, আসল সার্টিফিকেটসহ জমা দিয়েছি। যুগ যুগ ধরে ঘুরছি মূল্যয়ন করছে না। আমি এটাও বলেছি যে আমি আর ফিরে নাও আসতে পারি। পয়সা কড়িও শেষ কে দিবে আমারে পয়সা।
ফরিদপুরের আব্দুল হান্নান মিয়া এভাবেই জানান ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের কথা। স্বীকৃতি পেতে ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে প্রতি মাসে একাধিকবার তাকে ঢাকায় আসতে হয়। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া হান্নান মিয়ার এই ঘোরাঘুরি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য।
একইদাবিতে তাঁর মতো অনেকেই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে রাজধানীর জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে যাতায়াত করছেন প্রতিদিন। বয়সে প্রবীণ জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের অপলক চাহনিই বলে দেয়, অপেক্ষার দীর্ঘশ্বাস কতটা নির্মম।
একজন মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘কাউকে রিসিট দিলে সেটা কম্পিউটারের নিচে রাখে, এরপর কই যায় জানিনা।’
আরেজন মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘স্থগিত করার পর মহামান্য আদালতের কাছে রিট করেছি। তার জবাব আজও পাই নাই’
প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতিও আটকে আছে কঠিন বেড়াজালে। অপেক্ষা করতে করতে স্বীকৃতি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে মারাও গেছেন অনেকে।
জামুকার মহাপরিচালক জানিয়েছেন, শুনানির মাধ্যমে সকল তালিকা নিষ্পত্তির কাজ চলছে। নতুন করে আর কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুরনো সব আবেদন নিষ্পন্ন করা হবে।
এফএম/দীপ্ত সংবাদ