সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে শুক্রবার (৬ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করছে চট্টগ্রামের পটিয়া, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, বোয়ালখালী ও আনোয়ারা উপজেলার প্রায় ৬০টি গ্রামের মানুষ।
দীর্ঘ প্রায় ২০০ বছর ধরে মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা সৌদি আরবে চাঁদ দেখার (রুইয়াতিল হেলাল) ভিত্তিতে ইসলামী ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছেন। ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা ছাড়াও চন্দ্র–নির্ভর অন্যান্য ইবাদত, যেমন রমজানের রোজা ও আরাফার রোজাও তারা সৌদি সময় অনুযায়ী পালন করে থাকেন।
সেই ধারাবাহিকতায় এ বছর ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় শুক্রবার সকাল ৭টায় চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চননগর জাহাগিরিয়া শাহ সুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফ মাঠে। ঈদের জামাতে ইমামতি করেন দরবার শরীফের পীর সাহেব হযরত মাওলানা শাহ সুফি মুহাম্মদ আলী শাহ। নামাজের পূর্বে তিনি ঈদুল আযহার তাৎপর্য ও কোরবানির মূল শিক্ষা নিয়ে খুতবা দেন। খুতবায় বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি, কল্যাণ এবং দেশ ও জাতির উন্নতি কামনায় দোয়া করা হয়।
নামাজ শেষে মুসল্লিরা নিজ নিজ বাড়িতে গিয়ে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি দেন।
সাতকানিয়া উপজেলার আলীপুরা গ্রামের বাসিন্দা আবদুর রহিম বলেন, ‘আমরা দেড় শতাব্দীর বেশি সময় ধরে মির্জাখীল দরবারের অনুসরণে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ পালন করি। এটি আমাদের জন্য ধর্মীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং আত্মিক শান্তির বিষয়।‘
প্রসঙ্গত, মির্জাখীল দরবার শরীফ দক্ষিণ চট্টগ্রামে একটি প্রাচীন ও প্রভাবশালী সুফি দরবার হিসেবে পরিচিত। তাদের অনুসারীরা কেবল ঈদ উদযাপনই নয়, ইসলামী অনুশাসনের নানা বিষয়ে সৌদি ভিত্তিক চাঁদ দেখার নিয়ম অনুসরণ করেন।