সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ করতে সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
শনিবার (১০ জুন) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত আয়োজিত সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ আশ্বাস দেন।
ইভিএম নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বলেন, ইভিএমে কোনো ভূত–প্রেত নেই। এটা সবচেয়ে নিরাপদ পদ্ধতি সকল বিচার বিশ্লেষণ করে কিছু পাওয়া যায়নি। যদি কেউ প্রমাণিত করতে পারেন তাহলে আমি নিজেই এর দায়ভার নিবো। তাই আপনারা সময় মতো ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিবেন। কোন বিলম্ব করবেন না।
শনিবার (১০ জুন) দুপুরে সিলেট মহানগরীর মেন্দিবাগস্থ জালালাবাদ গ্যাস অডিটোরিয়ামে সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
সিলেট বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার ইলিয়াছ শরিফ, সিলেট জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের।
মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসানসহ অন্য মেয়র প্রার্থী, কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিল প্রার্থীরা। এছাড়াও মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কাজে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
নির্বাচনে চূড়ান্ত লড়াইয়ে মোট আটজন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কাউন্সিলর পদে ৩৬০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যাদের মধ্যে ২৭৩ জন সাধারণ ওয়ার্ডে এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে (নারী কাউন্সিলর) ৮৭ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সভায় সিসিক নির্বাচনে ৭ জন মেয়র প্রার্থী, ৪২টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে বিভিন্ন প্রশ্ন ও অভিযোগ উত্থাপন করেন।
জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, নির্বাচনে সবকটি ভোট কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে। ঢাকা থেকে সবকিছু মনিটর করা হবে, ব্যবস্থা নেয়া হবে। সুষ্ঠ নির্বাচন বহির্ভূত কোনো ধরনের কর্মকাণ্ডের ছাড় দেয়া হবে না। আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে প্রার্থীতাও বাতিল করতে পারে ইসি।
২১ জুন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। ৭৯ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই মহানগরীতে ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। ওয়ার্ড সংখ্যা ৪২টি। ২০০২ সালে সিলেট সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সিলেটের সকল ওয়ার্ডে এবারই প্রথম হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ।
মো. কায়সার হামিদ/ আল/দীপ্ত সংবাদ