পঞ্চমবারের মতো সিলেট সিটি করপোরেশনে (সিসিক) ভোট অনুষ্ঠিত হবে বুধবার (২১জুন) । টানা বৃষ্টির মধ্যে মঙ্গলবার কেন্দ্রে কেন্দ্রে ইভিএম মেশিন পাঠানো হয়েছে। এভাবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কমতে পারে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের।
তিনি জানান, বৃষ্টির কারণে ভোটে কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে। মেয়র ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে আসবেন। চার–পাঁচটা কেন্দ্রের মাঠে পানি উঠেছে। ওসব কেন্দ্রে পানি নিষ্কাশনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সিলেটে টানা বৃষ্টিতে প্রকট হচ্ছে জলাবদ্ধতা। বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে পানি ঢুকে পড়ার আশংকা করছেন ভোটাররা। এমন অবস্থায় ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে অনগ্রহ সৃষ্টি হতে পারে ভোটারদের মধ্যে বলে মনে করছেন নগরবাসী।
এদিকে নির্বাচনে নিরাপত্তায় মাঠে থাকবে আড়াই হাজার পুলিশ সদস্য। এই সিটির ১৯০টি কেন্দ্রের ১৩২টিকেই গুরুত্বপূর্ণ ধরা হয়েছে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের ভোট কক্ষে স্থাপন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা।
মহানগর পুলিশ জানিয়েছে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের লক্ষ্যে মাঠে আড়াই হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। ৫১টি মোবাইল টিম, ১৫টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, ছয়টি রিজার্ভ ফোর্স এবং প্রত্যেক জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে ফোর্স থাকবে।
অপরদিকে আজ সকাল ১১টা থেকে সিলেটের আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্স থেকে নির্বাচনের সরঞ্জামাদি বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। পরে সেসব সামগ্রী ভোট কেন্দ্রে নেওয়া শুরু হয় দুপুরের দিকে।
প্রসঙ্গত– সিলেট সিটি করপোরেশনে আগে ২৭ ওয়ার্ড থাকলেও বর্ধিত ১৫টি ওয়ার্ড নেয়ে এখন মোট ৪২টি ওয়ার্ড। ৭৯ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই মহানগরীতে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৩, নারী ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৪ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ বা হিজড়া ভোটর রয়েছেন ৬ জন।
২০১৮ সালে সিটি নির্বাচনে সিলেট নগরের ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ছিল ৩ লাখ ২১ হাজার ৭৩২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৭১ হাজার ৪৪৪ এবং নারী ১ লাখ ৫০ হাজার ২৮৮ জন। কেন্দ্র ছিল ১৩৪টি, ভোট কক্ষ ছিল ৯২৬টি এবং অস্থায়ী কক্ষ ছিল ৩৪টি। এবার ৪২টি ওয়ার্ডে কেন্দ্র বেড়ে হয়েছে ১৯০টি এবং ভোট কক্ষ ১ হাজার ৩৬৭টি।
২০০২ সালে সিলেট সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সিলেটের সকল ওয়ার্ডে এবারই প্রথম হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ।
আল /দীপ্ত সংবাদ