পাবনার সন্তান মো. সাহাবুদ্দিন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে ঢাকাস্থ পাবনা জার্নালিস্ট ফোরাম (পিজেএফ)। নতুন রাষ্ট্রপতিকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি খায়রুজ্জামান কামাল ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম মওলা।
সোমবার ঢাকাস্থ পাবনা জার্নালিস্ট ফোরাম (পিজেএফ) থেকে গণমাধ্যমের কাছে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রাষ্ট্রপতির সুস্বাস্থ্য ও সাফল্য কামনা করে বিবৃতি দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে খায়রুজ্জামান কামাল ও গোলাম মওলা সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে রাষ্ট্রপতি মনোনয়ন দেওয়ায় সরকারি দল আওয়ামীলীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি পিজেএফ নেতৃবৃন্দ পাবনার সন্তানকে প্রথমবারের মতো দেশের সর্বোচ্চ পদে নির্বাচিত ঘোষণা করায় নির্বাচন কমিশনকে অভিনন্দন জানান।
উল্লেখ্য, সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সাবেক জেলা ও দায়রা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিনকে ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এর আগে রবিবার সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পরিচয়:
১৯৪৯ সালের ১০ ডিসেম্বর পাবনার জন্ম সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর। রাষ্ট্রপতি পদে জমা দেওয়া মনোনয়নপত্রের তথ্য অনুযায়ী, তার বাড়ি পাবনা সদর থানার শিবরামপুরে। ঢাকায় তিনি থাকেন গুলশানে।
সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর বাবা শরফুদ্দিন আনছারী ও মা খায়রুন্নেসা। তিনি পাবনা শহরের পূর্বতন গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর রাধানগর মজুমদার অ্যাকাডেমিতে চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৬৬ সালে এসএসসি পাস করার পর পাবনার এডওয়ার্ড কলেজ থেকে ১৯৬৮ সালে এইচএসসি ও ১৯৭১ সালে (অনুষ্ঠিত ১৯৭২ সালে) বিএসসি পাস করেন। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৪ সালে মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর এবং পাবনা শহীদ অ্যাডভোকেট আমিনুদ্দিন আইন কলেজ থেকে ১৯৭৫ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।
ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে তার পথচলা। দীর্ঘদিন পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ছাত্রলীগ নেতা হিসেবেই তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। তিনি পাবনা জেলা স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন। ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি পাবনা অঞ্চলে যুদ্ধ পরিচালনা করেন। তিনি পরে যুবলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। ১৯৭৪ সালে জেলা যুবলীগের সভাপতি হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হলে তার প্রতিবাদ জানান তিনি। তখন গ্রেফতার হয়ে বেশ কয়েক বছর জেল খাটেন সাহাবুদ্দিন। এ সময় তিনি নির্যাতনেরও শিকার হন।