এবছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার শতকরা ৮৭ দশমিক চার চার ভাগ, যা গতবারের চেয়ে ৬ দশমিক এক চার ভাগ কম। তবে, জিপিএ ফাইভ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৮৬ হাজার ২৬২ জন। এবারও ফলাফলে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে মেয়েরা। সব পরীক্ষার্থী ফেল করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে ৩২টি।
করোনা পরিস্থিতি ও বন্যার কারণে নির্ধারিত সময়ের অনেক পর অনুষ্ঠিত হয় এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। ১১টি শিক্ষা বোর্ডে এবার পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখের মতো। তাদের মধ্যে পাস করেছে ১৭ লাখ ৪৩ হাজার ৬১৯ জন। জিপিএ-ফাইভ পেয়েছে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী।
গত বছর সারাদেশে শতভাগ ফেল করেছিল এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ১৮টি। তবে, এই সংখ্যা এবার বেড়েছে দাঁড়িয়েছে ৫০টিতে। এতে ক্ষোভ জানান শিক্ষামন্ত্রী।উপযুক্ত শিক্ষকের অভাবে বিষয়ভিত্তিক ভালো ফলাফল হচ্ছে না বলেও মত দেন মন্ত্রী।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী। এসময় সরকার প্রধান বলেন, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় মনোযোগী করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছিলো বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।