সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার তিনটি অংশের মধ্যে অস্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের দুটি মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল–৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মণ্ডল এ রায় ঘোষণা করবেন।
এদিকে মামলার একটি অংশের সাজাপ্রাপ্ত জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ কারাগারে রয়েছেন ৩৭জন, জামিনে আছেন দুইজন ও পলাতক রয়েছেন ৯ জন। কারাগারে থাকাকালিন মারা গেছেন সাবু ও লাকি।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সকাল ১০টায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার পথে বেলা ১১টায় বিএনপির নেতাকর্মীরা কলারোয়ার দলীয় অফিসের সামনে তার গাড়ি বহরে হামলা চালায়। হামলায় আওয়ামী লীগের ১ ডজন নেতাকর্মী আহত হন।
এ ঘটনায় কলারোয়া থানা মামলা না নেওয়ায় ২ সেপ্টেম্বর কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমাণ্ডার মোসলেমউদ্দিন বাদি হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৭০/৭৫ জনের নামে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ঘটনা সঠিক নয় বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। আদালত মামলা খারিজ করে দিলে বাদি জজ কোর্টে রিভিশন করেন। সেখানেও খারিজ হয়ে যায়। হাইকোর্ট ২০১৩ সালে ওই মামলা আমলে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে এসে পৌঁছায়। ২০১৫ সালের ১৫ অক্টোবর শুনানী শেষ অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। ওই দিনই মামলাটি থানায় রেকর্ড হওয়ার পর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) শফিকুর রহমানকে তদন্তকারি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে সাড়ে ছয় মাস পর ২০১৬ সালের ৪ মে তিনি আদালতে ৫০ জনের নামে তিনটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তালা–কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন নেতাকর্মীকে চার থেকে ১০ বছর মেয়াদে সাজা দেন সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম হুমায়ুন কবির।
গত বছরের ১৪ জুন অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের দুটি মামলায় চার্জ গঠন করা হয়। এ মামলায় সাফাই সাক্ষ্য ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আগামী ১৮ এপ্রিল রায়ের দিন ধার্য করেন আদালত।
আফ/দীপ্ত সংবাদ