সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে ছেলেদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ ও মেয়েদের ৩৭ করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন পর্যালোচনা কমিটি।
শনিবার (১২ অক্টোবর) চাকরির সর্বোচ্চ বয়স নির্ধারণে গঠিত পর্যালোচনা কমিটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে এই সুপারিশ পেশ করে।
এতে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরির আবেদনে পুরুষের বয়স সর্বোচ্চ ৩৫ বছর, আর নারীদের ৩৭ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে। দেশের শিক্ষাব্যবস্থা, পরীক্ষার ধরন ও কর্মসংস্থানের সুযোগের বিষয়টি আমলে নিয়েছে পর্যালোচনা কমিটি। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তবে অবসরের বয়সসীমা ৫৯ বছরই সুপারিশ করেছে পর্যালোচনা কমিটি।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মানসুর হোসেন।
উল্লেখ্য, গত প্রায় এক যুগ ধরে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার জন্য চাকরিপ্রত্যাশীদের একটি অংশ আন্দোলন করছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান সাবেক সচিব আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীকে প্রধান করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা পর্যালোচনায় একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান, সাবেক যুগ্ম সচিব কাওসার জহুরা, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইকবাল ও সাইফুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, সাধারণত সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও তাদের নাতি–নাতনীদের জন্য ৩২ বছর।
এসএ