১৯৯৪ সালে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জনসহ মোট ৪৭ জনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলাম ও বিচারপতি হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় দেন।
খালাসপ্রাপ্তদের মধ্যে ২৫ জনের যাবজ্জীবন এবং ১৩ জনের ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। তারা সবাই বিএনপির নেতাকর্মী।
আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান ও অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ।
রায়ের পর ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘বিচারিক আদালতের রায় ছিল রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফল। শেখ হাসিনাকে খুশি করতেই পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত এই রায় দিয়েছিলেন। হাইকোর্ট যথাযথভাবে শুনানি নিয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেছেন।’
১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাওয়ার পথে ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে ট্রেনে হামলার শিকার হন। বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ কয়েকজনের নেতৃত্বে ট্রেনে গুলি ও বোমাবর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করা হয়।
ঈশ্বরদী জিআরপি থানার তৎকালীন ওসি নজরুল ইসলাম সেদিনই একটি মামলা করেন, যা পরে সিআইডির তদন্তে গতি পায়। ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল এ ঘটনায় ৫২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়। তবে পাঁচজন মারা যাওয়ায় তাদের নাম বাদ দেয়া হয়।
২০১৯ সালের ৩ জুলাই পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ২৫ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১৩ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
এরপর মামলাটি হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স হিসেবে পাঠানো হয় এবং আসামিরা আপিল করেন। গত ৩০ জানুয়ারি শুনানি শেষে ৫ ফেব্রুয়ারি রায়ের দিন ধার্য করা হয়। আজকের রায়ে আদালত সবাইকে খালাস দিয়েছেন।