পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। আর এই ট্রেনের প্রথম যাত্রী হিসেবে পদ্মা সেতু পার হলেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় একটি গ্যাং কার (পরিদর্শন ট্রেন) ভাঙ্গা থেকে মাওয়ার উদ্দেশে যাত্রা করে। এরপর ছয় বগির একটি ট্রেন পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়ায় যাচ্ছে। ট্রেনটি আবার সেতু পার হয়ে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা জংশনে ফিরবে।
গত বছরের ২০ আগষ্ট মূল সেতুতে রেললাইন বসানোর কাজ শুরু হয়। ৪২ দশমিক ২ কিলোমমিটার রেলপথে পাথরবিহীন রেলপথ ১৩ দশমিক ৩ কিলোমিটার ও ২৮ দশমিক ৯ কিলোমিটার পাথরযুক্ত রেললাইন। এই রেলপথে ১টি জংশন, ৪টি স্টেশনে ট্রেন যাবে। বেলা ১২ টার দিকে প্রথম যাবে একটি গ্যাংকার এরপর ৭ বগির একটি ট্রেন পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া যাবে। এর যাত্রী হবে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, চীফ হুইপ নূর–ই–আলম চৌধুরী, মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী এমপিসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের তথ্য মতে, প্রকল্পের মোট ১৭২ কিলোমিটার লেভেল ক্রসিংবিহীন রেলপথে ৩২টি রেল কালভার্ট, ৩৭টি আন্ডারপাস এবং ১৩টি রেলসেতুর কাজ শেষ হয়েছে। সেতুর দুই পাশের স্টেশন নির্মাণ চূড়ান্ত পর্যায়ে।
প্রকৌশলী সূত্র বলছে, পুরো প্রকল্পের কাজ আগামী বছরের জুনে শেষ হলেও ঢাকা–ভাঙ্গা এই অংশের কাজ চলতি বছরই শেষ হবে। পদ্মা সেতু চালুর পর দেশের দক্ষিণ–পশ্চিমের ২১ জেলার মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হয়েছে। নতুন রেলপথে যাতায়াতে রাজধানী ঢাকা থেকে খুলনার দূরত্ব কমবে ২১২ কিলোমিটার। এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।
রাজধানী থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার রেলসংযোগ প্রকল্পের মধ্যে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের বড় চ্যালেঞ্জ ছিল সেতুতে যানবাহন চালু রেখেই নিচতলায় পাথরবিহীন রেললাইন নির্মাণ। গত বছরের ২০ আগস্ট সেতুতে রেললাইন স্থাপনের উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। তবে বিভিন্ন জটিলতায় পুরোদমে কাজ শুরু হয় নভেম্বরে।
এফএম/দীপ্ত সংবাদ