যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পরপরই জো বাইডেনের আমলের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় সোমবার (২০ জানুয়ারি) শপথ গ্রহণের কিছুক্ষণের মধ্যেই এই আদেশগুলোতে স্বাক্ষর করেন তিনি।
ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ওয়ান অ্যারেনায় শপথ গ্রহণের পর দেয়া প্রথম ভাষণে ট্রাম্প বলেছিলেন, শিগগিরই বাইডেন আমলের সব নির্বাহী আদেশ বাতিল করবেন। শপথের অল্পক্ষণ পরই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করেন তিনি।
ট্রাম্প প্রথমেই বাইডেনের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেন। এরপর জনসমক্ষে সেই নথি তুলে ধরে জনতার উদ্দেশে তা প্রদর্শন করেন।
এছাড়া, ট্রাম্প প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার জন্যও একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। এটি ট্রাম্পের প্রশাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ক্ষমতা ছাড়ার আগে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে ফৌজদারি মামলার হুমকি থেকে রক্ষা করতে ক্ষমা করেন। এর মধ্যে তার দুই ভাই জেমস ও ফ্রাঙ্ক বাইডেন, বোন ভ্যালেরি বাইডেন এবং তাদের স্বামী–স্ত্রীরাও অন্তর্ভুক্ত।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এবং মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, বাইডেন ক্ষমতা ছাড়ার ঠিক আগে ক্ষমতাবলে পরিবারের সদস্যসহ রেকর্ডসংখ্যক ব্যক্তিকে ক্ষমা করেছেন। ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় এসে এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে, এমন শঙ্কা থেকেই এই সিদ্ধান্ত নেন বাইডেন।
এ বিষয়ে ট্রাম্প তার ভাষণে বলেন, ‘যে ক্ষমাগুলো দেওয়া হয়েছে, সেগুলোকেও আমরা দ্রুত বাতিল করবো।‘
অর্থনৈতিক ইস্যুতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার অংশ হিসেবে ট্রাম্প মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশেও স্বাক্ষর করেছেন।
ট্রাম্পের এই পদক্ষেপগুলো তার প্রশাসনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও নীতি পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে বাইডেনের ক্ষমা কার্যক্রম এবং প্যারিস চুক্তি থেকে সরে আসার মতো বিষয়গুলো নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক আরও গভীর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।