শক্তিশালী ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০০০। আহতের সংখ্যা ছয় হাজারের বেশি। ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয়েছে অসংখ্য বাড়িঘর ও স্থাপনা।
স্থানীয় সময় বরিবার দিবাগত রাত সোয়া ৪টা। হঠাৎ প্রচণ্ডভাবে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও সিরিয়া। মুহুর্তের মধ্যেই লন্ডভন্ড হয়ে যায় দেশ দুটির অনেক এলাকা। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় গাজিয়ানটেপ প্রদেশ। ভূমির ২৪ দশমিক ১ কিলোমিটার গভীরে, রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রায় এই কম্পনের সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা- ইউএসজিএস।
এতে দেশটির ৭টি প্রদেশের অন্তত ১০টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকারি বার্তা সংস্থা আনাদুলু। ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছে অনেক বাড়িঘর ও স্থাপনা। আর সিরিয়ায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আলেপ্পো, হামা, লাতাকিয়া ও তারতুস প্রদেশ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য স্থাপনা। দেশটির সরকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
সিরিয়ার এক নাগরিক বলেন “মুহূর্তের মধ্যে সব এলোমেলো হয়ে গেছে। আমার জীবনে এতো তীব্র কম্পন টের পাইনি। ৪০ সেকেন্ড ধরে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আমরা এখনো ঝুঁকিতে আছি”
দুই দেশেই ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেক মানুষ চাপা পড়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। তুরস্কে প্রথম কম্পনের ১১ মিনিট পর আরেকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭। আর তা ঘটে ভূমির ৯ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে।
এদিকে, তুরস্কের ভূমিকম্পের ঢেউ ইসরাইল, লেবানন, সাইপ্রাস ও ফিলিস্তিনেও লেগেছে। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সবধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।