শুরু হয় ঠিক ইফতারের আগ মুহুর্তে তারপর মাঝখানে এক ঘন্টা বিরতি দিয়ে এই জট ভাঙে রাত ১১টার পরে। পনেরো রমজানের পর থেকে সিলেট নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কের প্রতিদিনের দৃশ্য এটি।
রবিবার অফিসের প্রথম দিন (৯ এপ্রিল) বিকেলে সিলেট মহানগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় দেখা যায় রাস্তার পাশে গড়ে উঠা অস্থায়ী ইফতারের দোকানগুলোতে ভিড় জমিয়েছেন ক্রেতারা, যত্রতত্র করছেন গাড়ি ও মোটরসাইকেল পার্কিং ফলে কাঙ্খিতভাবেই রাস্তায় হয়ে যাচ্ছে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন।
সিলেটের রাস্তায় এমনিতেই যানজট লেগে থাকে। আর ইফতারের ঠিক আগে যানজটের যন্ত্রণা আরও বেশি বেড়ে যায়। শুধুমাত্র শৃঙ্খলা আর দায়িত্বশীলতার অভাবে নগরবাসীকে যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে দীর্ঘ সময়। ২০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে লাগছে দ্বিগুণ সময়। এমনকি যানজটে আটকা পড়ে অনেককে ইফতার করতে হচ্ছে রাস্তায়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইফতারের আগে ঘরমুখো মানুষের জন্য রাস্তায় গাড়ির চাপ বেড়ে যায়। এছাড়া রাস্তার পাশে থাকা ইফতার সামগ্রী বিক্রির দোকানগুলো এই যানজটের অন্যতম কারণ।
বেতের বাজারের বাসিন্দা সৌরভ তালুকদার জানান, অফিস শেষে বিকেলে বাসায় ফিরেন তিনি। কিন্তু প্রতিদিন ইফতারের আগ মুহূর্তে লামাবাজার থেকে দীর্ঘ যানজটে পড়তে হয়ে তাকে।
নগরের আম্বরখানায় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য মো. আজিজ জানান, ইফতারের জন্য সবারই বাসায় ফেরার তাড়া থাকে। রিকশা ও পথচারীদের রাস্তা পারাপারে অন্যান্য গাড়িগুলোকে চলতে হয় ধীরগতিতে। সিগন্যাল ছাড়লেও রিকশা ও পথচারীদের চাপে যানবাহন চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। তখনই যানজট লাগে।
এদিকে যানজটে আটকে পড়া মানুষের ক্ষোভ– রাস্তার পাশে অবৈধভাবে পার্কিং করে রাখা গাড়িগুলোর চালকদের উপর।
আফ/দীপ্ত সংবাদ