সারা দিনের কর্মব্যস্ততার পর আমাদের দেহের ঘুমের প্রয়োজন। প্রতিরাতে অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি। বর্তমানে অনেকেই অনিদ্রার সমস্যায় ভুগছেন। যার ফলে তারা ঘুমের ওষুধের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়েন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন যদি আপনি অন্তত ছয় ঘণ্টারও কম সময় ঘুমান তাহলে শরীরের বিভিন্ন ক্ষতি হতে পারে। তাই নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য এদিকে খেয়াল করা জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক পর্যাপ্ত না ঘুমালে আপনার কী কী ক্ষতি হতে পারে–
উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি
রাতে ঘুম ভালো না হলে রক্তচাপ অনিয়মিত হয়ে পড়ে ও ডায়াবেটিস দেখা দিতে পারে। হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে এবং শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়।
খিটখিটে ভাব
একটি মানুষের মুড ঠিক না থাকার অন্যতম কারণ হলো রাতে ঘুম কম হওয়া। এ কারণে সে সারা দিন খিটখিটে আচরণ করে চলে। যা তার নিজের জন্য ও আশপাশের সবার জন্য বিরক্তির কারণ হতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কেবল ভুক্তভোগীরাই জানেন। এই সমস্যা একবার দেখা দিলে সহজে দূর হয় না। অনেকে মনে করেন কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যার পেছনে কেবল আমাদের খাবারই দায়ী। আসলে তা নয়। এর নেপথ্যে কারণ হিসেবে কাজ করতে পারে অপর্যাপ্ত ঘুমও। কারণ ঘুমের অভাব হলে তা প্রভাব ফেলে আমাদের পরিপাকতন্ত্রেও। এর ফলে দেখা দেয় কোষ্ঠকাঠিন্য। তাই এই সমস্যা থেকে বাঁচতে নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমের অভ্যাস করুন।
বিষণ্ণতা
বিষণ্ণতা কোনো শখের অসুখ নয়। অনেক বেশি মানসিক চাপ থেকে এই সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। যারা নিয়মিত না ঘুমায় তারা অন্যদের মতো হাসিখুশি কিংবা কর্মক্ষম থাকতে পারে না। কারণ পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে মানসিক চাপ। সেখান থেকে দেখা দেয় বিষণ্ণতা। তখন মেজাজ খিটখিটে হতে থাকে এবং কাজেও মন বসে না। বিষণ্ণতা কিন্তু শরীরেও বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি করতে পারে। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই।
হজমের সমস্যা
প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম না হলে বাড়তে পারে হজমের সমস্যা। না ঘুমালে আমাদের শরীরের পাচনক্রিয়ায় সাহায্যকারী অঙ্গ–প্রত্যঙ্গগুলো সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া
কম ঘুমের কারণে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। কারণ পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীর বিশ্রাম পায় না। ফলে নষ্ট হয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
ওজন বৃদ্ধি
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত কম ঘুমের ফলে শরীরে মেটাবলিজম ধীর হয়ে যায়। ফলে ওজন বাড়া স্বাভাবিক।
সুপ্তি/ দীপ্ত সংবাদ