রাতে রাউটার চালু রেখে ঘুমালে আপনি এবং আপনার পরিবার কিছু সম্ভাব্য ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। যদিও এ বিষয়ে গবেষণা এখনও চলমান এবং সমস্ত বিজ্ঞানীরা একমত নন, তবে কিছু প্রমাণ এবং সতর্কতা রয়েছে যা জানা গুরুত্বপূর্ণ।
ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড (EMF) এক্সপোজার: রাউটার থেকে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড (EMF) নির্গত হয়, যা দীর্ঘমেয়াদি এক্সপোজার হলে স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষত, রাতের বেলায় ঘুমানোর সময় যখন শরীর পুনরুদ্ধার ও মেরামতির কাজ করে, তখন EMF এক্সপোজার এর প্রভাব বেশি হতে পারে।
যদিও অনেক গবেষণা বলছে যে Wi-Fi রেডিয়েশন মানুষের জন্য সুরক্ষিত, তবু কিছু গবেষণা উদ্বেগজনক তথ্য দিয়েছে, যেমন ঘুমের গুণমানের হ্রাস এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা।
ঘুমের উপর প্রভাব: কিছু গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে Wi-Fi সিগন্যাল এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে নির্গত রেডিয়েশন ঘুমের মানের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। মস্তিষ্কের তরঙ্গ এবং স্নায়ুতন্ত্রের ক্রিয়াকলাপ ব্যাহত হতে পারে, ফলে গভীর এবং বিশ্রামমূলক ঘুমে সমস্যা হতে পারে।
ডিভাইসের অতিরিক্ত তাপ উৎপাদন: রাউটার সারারাত চালু রাখলে এটি তাপ উৎপাদন করে যা ডিভাইসটির আয়ুষ্কাল কমাতে পারে। অতিরিক্ত তাপ উৎপাদনের ফলে ডিভাইসটির কার্যকারিতা কমে যেতে পারে এবং যান্ত্রিক সমস্যাও হতে পারে।
সাইবার নিরাপত্তার ঝুঁকি: রাউটার সারারাত চালু রাখলে এটি সাইবার হামলার ঝুঁকিতে থাকতে পারে। অনিরাপদ Wi-Fi নেটওয়ার্ক হ্যাকারদের জন্য একটি সুযোগ হতে পারে।
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
রাতে রাউটার বন্ধ রাখা: ঘুমানোর আগে রাউটার বন্ধ করে দিন। এটি EMF এক্সপোজার কমাতে সাহায্য করবে এবং রাউটারের আয়ুষ্কাল বাড়াবে।
অটোমেটিক টাইমার ব্যবহার: রাউটারের জন্য একটি অটোমেটিক টাইমার ব্যবহার করতে পারেন যা নির্দিষ্ট সময় পরে রাউটার বন্ধ করে দেবে।
রাউটার দূরে রাখা: রাউটারকে শোবার ঘর থেকে দূরে রাখুন, যেন এর সিগন্যাল আপনার ঘুমের উপর কম প্রভাব ফেলে।
নিরাপদ নেটওয়ার্ক ব্যবহার: Wi-Fi পাসওয়ার্ড শক্তিশালী করুন এবং নিয়মিত পরিবর্তন করুন। এছাড়া ফায়ারওয়াল এবং অন্যান্য সিকিউরিটি ব্যবস্থা ব্যবহার করুন।
এই সতর্কতাগুলি অনুসরণ করলে আপনি এবং আপনার পরিবার কিছু সম্ভাব্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
এমবি/ সুপ্তি/ দীপ্ত সংবাদ