আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। বিশ্বের অনেক মানুষ দিনটি পালন করেন তবে অশ্লীলতা, বেহায়াপনা ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডসহ নানান কারণে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে ‘ভালোবাসা দিবস‘ উদযাপনে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
সর্বশেষ ভালোবাসা দিবস উদযাপনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ‘পাকিস্তান‘ সরকার। ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ভালোবাসা দিবস পালন নিষিদ্ধ করে।
শুধু পাকিস্তান নয়, আরো অন্তত কয়েকটি দেশ আছে যেখানে ভালোবাসা দিবস উদযাপন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
ঐতিহ্য ও ইতিহাসের জন্য খ্যাত উজবেকিস্তান। কিন্তু ২০১২ সালে সেখানে ভালোবাসা দিবস পালন নিষিদ্ধ করা হয়।
৬০ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত ‘মালয়েশিয়ায়‘ ভালোবাসা দিবস উদযাপনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ২০১২ সালে ভালোবাসা দিবসে দেশটির কয়েকটি হোটেলে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু তরুণ–তরুণীকে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগে আটক করা হয়।
মধ্যপ্রাচ্যের কট্টরপন্থি মুসলিম দেশ ‘ইরান‘ ২০১১ সালে ভালোবাসা দিবসকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সে সময় সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়, হৃদয়, অর্ধ–হৃদয়ের প্রতীক, লাল গোলাপ এবং এই দিন সম্পর্কিত কোনো কার্যক্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
‘রাশিয়ার বেলগ্রাডে‘ ২০১১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসের অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করা হয়। আধ্যাত্মিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানায়।
কট্টর সুন্নিপন্থি ‘সৌদি আরবে‘ ভালোবাসা দিবস উদযাপন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ১৪ ফেব্রুয়ারির আগে থেকেই যে কোনো ধরনের ফুল, লাল রঙয়ের পণ্য, ভালোবাসা দিবসের কার্ড বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার।
এছাড়া ‘যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা‘ অঙ্গরাজ্যেও ভালোবাসা দিবস উদযাপনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
২০০৫ সাল থেকে ভালোবাস দিবস পালনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ‘মালয়েশিয়া‘। এমনকি প্রতি বছর ভালোবাস বিরোধী ক্যাম্পেইন পালিত হয়।
ইসলামিক শরিয়া আইনে চলা মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ‘ব্রুনাইয়ে‘ ভালোবাসা দিবসে প্রকাশে কেউ কোনো আয়োজন করতে পারে না। কারণ দেশটিতে এটি ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ড হিসেবে দেখা হয়।
এদিকে, নিরাপত্তা ও রক্ষণশীল সমাজ ও নিষেধাজ্ঞার কারণে ‘আফগানিস্তানে‘ ভালোবাসা দিবস পালন করতে দেখা যায় না।
উল্লেখ্য, ফুল, চকলেট বা পছন্দের উপহার দেওয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ পালন করে থাকে ভালোবাসা দিবস।
এসএ