দেশের আকাশে ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সোমবার (৩১ মার্চ) সারাদেশে উদ্যাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর।
মুসলিম উম্মাহ প্রতি বছর দু’টি ঈদ উদযাপন করে। ঈদের নামাজ দুই রাকাত আর তা ওয়াজিব তবে তা স্বাভাবিক নামাজের মতো নয়। এতে আজান–ইকামত নেই। যাদের ওপর জুমার নামাজ ওয়াজিব, তাদের ওপর ঈদের নামাজও ওয়াজিব। ঈদের নামাজ ময়দানে পড়া উত্তম।
ঈদের নামাজের নিয়ত:
আমি ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ অতিরিক্ত ৬ তাকবিরের সঙ্গে এ ইমামের পেছনে কেবলামুখী হয়ে মহান আল্লাহর জন্য আদায় করছি– ‘আল্লাহু আকবার’।
নামাজ পড়ার নিয়ম–
প্রথম রাকাত
১. ইমামের সঙ্গে তাকবিরে তাহরিমা ‘আল্লাহু আকবার’ বলে উভয় হাত বাঁধা।
২. তাকবিরে তাহরিমার পর ছানা পড়া
৩. এরপর অতিরিক্ত ৩ তাকবির দেয়া।
৪. এক তাকবির থেকে আরেক তাকবিরের মধ্যে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় বিরত থাকা।
৫. প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবিরে উভয় হাত উঠিয়ে তা ছেড়ে দেয়া।
৬. তৃতীয় তাকবির দিয়ে উভয় হাত তাকবিরে তাহরিমার মতো বেঁধে নিতে হয়।
৭. আউজুবিল্লাহ–বিসমিল্লাহ পড়া
৮. সুরা ফাতেহা পড়া
৯. সুরা মিলানো। এরপর নিয়মিত নামাজের মতো রুকু ও সেজদার মাধ্যমে প্রথম রাকাত শেষ করা।
দ্বিতীয় রাকাত
১. বিসমিল্লাহ পড়া
২. সুরা ফাতেহা পড়া
৩. সুরা মিলানো।
৪. সুরা মিলানোর পর অতিরিক্ত ৩ তাকবির দেয়া।
৫. প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবিরে উভয় হাত উঠিয়ে তা ছেড়ে দেয়া।
৬. তৃতীয় তাকবির দিয়ে উভয় হাত তাকবিরে তাহরিমার মতো বেঁধে নিতে হয়।
৭. এরপর রুকুর তাকবির দিয়ে রুকুতে যাওয়া।
৮. সেজদা আদায় করা।
৯. বৈঠকে বসা; তাশাহহুদ, দরুদ, দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফেরানোর মাধ্যমে নামাজ সম্পন্ন করা।
১০. নামাজের সালাম ফেরানোর পর তাকবির পড়া– ‘আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবর ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’
১১. নামাজের পর ইমাম সাহেবের দুটি খুতবা দেয়া।
এসএ