উপকূূলের দিকে ধেয়ে আসছে প্রলংঙ্কারী ঘূর্নিঝড় ‘মোখা’। এর প্রভাবে মেঘলা আবহাওয়া এবং থেমে থেমে হালকা বাতাস বইছে বরিশাল অঞ্চলে। ঘূর্নিঝড় এবং এর প্রভাবে ৫ থেকে ৭ ফুট উচু জলোচ্ছ্বাস থেকে বাঁচতে মানুষকে সতর্ক করতে মাইকিং করছে ঘূর্নিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী (সিপিপি)। বন্ধ রাখা হয়েছে সব ধরনের নৌযান চলাচল।
জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে দুর্যোগকালীন সবাইকে সাইক্লোন শেল্টারে নিরাপদে আশ্রয় নিতে অনুরোধ করেছে জেলা প্রশাসন। সব উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি সহ জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক রাখার পাশাপাশি পর্যাপ্ত খাদ্য সামগ্রী ও ত্রান মজুদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সব শেষ তথ্য অনুযায়ী ঘূর্নিঝড় মোখা পায়রা সমূদ্র বন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিনে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনিভূত হয়ে উত্তর ও উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঘূর্নিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাসাতের সর্বেচ্চ গতিবেগ ৭৪ কিলোমিটার। এটি ১৬০ কিলোমিটার গতিতে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। যা দমকা ও ঝড়ো হাওয়া আকারে ১৭০ থেকে ১৭৫ কিলোমিটার গতিতে প্রবাহিত হতে পারে। এর প্রভাবে কক্সবাজাররে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম, পায়রা ও মোংলা সমূদ্র বন্দরে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারী করা হয়েছে। ঘূর্নিঝড়টি ১৪ মে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্নিঝড়ের প্রভাবে আজ চট্টগ্রাম ও বরিশাল উপকূলীয় এলাকায় বজ্রসহ ভারী ও অতিভারী বৃষ্টি এবং দ্বীপ ও চর এবং নিম্নাঞ্চলে ৫ থেকে ৭ ফুট উচু জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিন–উল আহসান জানিয়েছেন ,বরিশাল বিভাগের ৬ জেলা এবং মহানগরে ৩ হাজার ১০১টি সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে। দুর্যোগকালীন সময়ে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারী অফিস আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে ।
যূথী/দীপ্ত সংবাদ