পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) এবং জাতিগত সশস্ত্র সংস্থা (ইএও) সশস্ত্রগোষ্ঠীর মধ্যে আবারও ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে গত তিন দিনে অন্তত ১৬ সেনা এবং দুইজন প্রতিরোধ যোদ্ধাসহ ১৮ জন নিহত হয়েছেন।
থাইল্যান্ডভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতি জানিয়েছে, পিডিএফ গ্রুপগুলি জান্তা ঘাঁটিতে ৩০টি বোমা ফেলার জন্য আটটি ড্রোন ব্যবহার করেছিল এবং লক্ষ্যবস্তুতে ২০০টি ইম্প্রোভাইজড মর্টার শেল নিক্ষেপ করেছিল। বোমা হামলার পর, প্রতিরোধ যোদ্ধারা ঘাঁটিতে আক্রমণ করার সময় দুটি এমআই–৩৫ সামরিক হেলিকপ্টার গানশিপ দ্বারা আক্রমণ করে।
ঘাঁটি দখলের পর পিডিএফ বাহিনী ক্যাম্পের কয়েকটি ভবন পুড়িয়ে দেয়। অভিযানে অনেক শাসক বাহিনী নিহত বা আহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জান্তা সেনারা অভিযান চালিয়ে কয়েকটি রাজ্যের ১০টি গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে।
ব্ল্যাক লেপার্ড আর্মি জানিয়েছে, একজন পিডিএফ যোদ্ধাও নিহত হয়েছেন এবং আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
জান্তা বাহিনীর কয়েকটি সেনা চৌকিতে মর্টার ও ড্রোন হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে গোষ্ঠীটি। একইসঙ্গে জান্তা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা একটি তেলের খনি দখলে নেয়ার দাবি করেছে পিডিএফ।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে অং সান সু চি‘র সরকারকে উৎখাত করে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর জান্তা সরকারের দমনপীড়নে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। শুরু থেকেই জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিরোধ গড়ে তোলে পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস ‘পিডিএফ‘। সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটির সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে জান্তা সেনাদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।
আফ/দীপ্ত সংবাদ