মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন জান্তাবাহিনীর বিমান হামলায় দেশজুড়ে ২১০ জনেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। বিদ্রোহীদের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত দেশটির ছয়টি রাজ্য ও অঞ্চলে গত মার্চের ২০ তারিখ থেকে ১৮ এপ্রিলের মধ্যে পরিচালিত বিমান হামলায় এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলায় আহত হয়েছে আরও অন্তত ৬০ জন।
থাইল্যান্ডভিত্তিক মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইরাবতীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে মিয়ানমারের সাগাইন এবং বাগো অঞ্চল, চিন, কায়াহ, কাচিন এবং কারেন রাজ্যে অন্তত ২৮টি বিমান হামলা হয়েছে। এসব হামলার অধিকাংশই ছিল বেসামরিক এলাকায়। প্রতিটি হামলায়ই একাধিক গোলাগুলি এবং বোমা বর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
জান্তাবাহিনীর বিমান হামলায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হলো সাগাইন। গত ১১ এপ্রিল সাগাইনের পাজি গি নামক একটি গ্রামে বিমান হামলায় অন্তত ১৭৫ জন নিহত হয়। এর মধ্যে নারী ও শিশুও ছিল। এমনকি এই হামলাকে এখন পর্যন্ত জান্তাবাহিনীর বিমান হামলায় সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। এই অঞ্চলে আরও একটি বিমান হামলায় অন্তত ৮জন নিহত হয়।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অভ্যুত্থানের পর গত বছরের অক্টোবরে কাচিন রাজ্যের পাকান্ত টাউনশিপের একটি গ্রামের সংগীতানুষ্ঠানে বিমান হামলা চালালে ৮০ জন নিহত হয়।
মার্চের ৩০ তারিখ থেকে এপ্রিলের ১৮ তারিখ পর্যন্ত চিন রাজ্যে জান্তাবাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছে। এ সময় আগত হয়েছে আরও অন্তত ২১ জন। কায়াহ রাজ্যের দেমোসো এবং বালাখে বেসামরিক অবস্থানে বিমান হামলায় অন্তত ৫ জন নিহত হয়েছে।
এ ছাড়া, কায়াহ রাজ্যে আকাশ থেকে বোমা বর্ষণের ফলে অন্তত আরও ৫ জন নিহত হয়। আহত হয় ৬ জন। কারেন রাজ্যে জান্তা বাহিনীর বিমান হামলায় নিহত হয়েছে আরও একজন।
এফএম/দীপ্ত সংবাদ