শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর প্রায় আড়াই হাজার পরাঘাতের স্মৃতি করছে তুরস্কের নাগরিকদের। আবাসস্থল হারানো হাজারো তুর্কি তীব্র ঠাণ্ডায় বিপাকে পড়েছেন গরম কাপড় ও খাবারের অভাবে। তাই শহর ছাড়ছেন অনেকেই।
কবে ধ্বংস স্তূপ পরিষ্কার হবে আর কবে জুটবে থাকার সামান্য জায়গা তার নেই কোন হদিস। এমন অবস্থায় জীবিত উদ্ধার হওয়া তুর্কি নাগরিকরা ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত প্রত্যন্ত সব এলাকা ছেড়ে দুরে যাচ্ছেন। কোনও রকমে প্রাণ বাঁচিয়ে তাঁরা নিরাপদ স্থানে যেতে চাইছেন তারা।
তুরস্কের এক বাসিন্দা বলেন ” আমাদের কিছুই অবশিষ্ট নেই। এখন গ্রামে চলে যাব ওখানে কিছু আত্মীয় আছে। সেখানেই থাকব।” ভূমিকম্পে সবায়কে হারিয়ে অনেকেই দেশ ছাড়ার কথা বলছে।
ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকা থেকে দলে দলে চলে আসা দুর্গতদের জন্য তুরস্কের বিভিন্ন শহরের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টের খুলে দেওয়া হয়েছে। হাতায়, নুরদাগি, মারাশের মতো এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ চলে আসছেন আঙ্কারা ও ইস্তামবুলে।
এতে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তুরস্কের বিভিন্ন উড়োজাহাজ সংস্থা। তাঁদের বিনামূল্যে সেবা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে দেশের একাধিক সংস্থা। টার্কিশ এয়ারলাইন্স, পেগাসাস এয়ারলাইন্স তুরস্কে দুর্গতদের জন্য বিনামূল্যে বিমান পরিষেবা ঘোষণা করেছে।
প্রত্যন্ত এলাকা থেকে বিনামূল্যে উড়োজাহাজ পৌঁছে দেবে দেশের রাজধানী আঙ্কারায়। অন্য শহরগুলোতে আসার জন্যেও উড়োজাহাজের সেবা মিলছে বিনামূল্যে। শুধু নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য নয়, গুরুতর আহতদেরও সরিয়ে নেয়া হচ্ছে বড় বড় শহরে।