সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪
সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪

ভারতে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে দুই জনের মৃত্যু

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

ভারতে প্রথমবারের মতো ইনফ্লুয়েঞ্জাভাইরাস বা এইচথ্রিএনটু ভাইরাসে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এইচথ্রিএনটু ভাইরাসের জেরে প্রায় ৯০ জন আক্রান্ত হয়েছে। এ বছরে শীতের শেষ দিকে নতুন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসটির সংক্রমণ শুরু হয়।

এইচথ্রিএনটু ভাইরাস হংকং ফ্লু নামেও পরিচিত। ইনফ্লুয়েঞ্জাএ ভাইরাসে মারা যাওয়া একজন দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য হরিয়ানার এবং দ্বিতীয়জন দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যের কর্ণাটকের বাসিন্দা। তাদের দুজনেরই বয়স ৫০ বছরের বেশি।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এই ভাইরাসের দাপট বেড়েছে দেশটিতে।

ভারতের সর্বোচ্চ মেডিকেল গবেষণা সংস্থা অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসের (এআইআইএমস) তথ্য অনুযায়ী, হংকং ফ্লু’র জন্য দায়ী এইচ৩এন২ এবং এইচ১এন১— দু’টি ভাইরাস। ভারতে শনাক্ত হওয়া রোগীদের নমুনায় দু ধরনের ভাইরাসেরই উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ৯০ জনের নমুনায় পাওয়া গেছে এইচ৩এন২ ভাইরাস এবং ৮ জনের নমুনায় মিলেছে এইচ১এন১ ভাইরাস।

ইনফ্লুয়েঞ্জার এই প্রজাতি সবচেয়ে বেশি ছোঁয়াচে ও বিপজ্জনক। এই ভাইরাল স্ট্রেন একবার শরীরে ঢুকলে তাড়াতাড়ি সংখ্যায় বাড়তে পারে এবং আক্রান্তের থেকে দ্রুত ছড়াতেও পারে। জ্বরের পাশাপাশি এই ভাইরাসের আক্রমণে কাশি, নাক থেকে জল পড়া, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, গলাব্যথা ও মাথাব্যথার মতো উপসর্গ লক্ষ করা যায়। অনেকের ক্ষেত্রে ডায়রিয়া, বমি, সারা শরীরে যন্ত্রণা। অন্যান্য উপসর্গ ৩ দিনের মাথায় কমতে শুরু করলেও কাশির সমস্যা কমতে ১৫ দিনের বেশি লাগছে।

চিকিৎসকদের মতে, কোভিড পরবর্তী সময়ে শিশুদের ফ্লুয়ে আক্রান্তের হার প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে চিকিত্সকরা আতঙ্কিত হতে বারণ করেছে। জ্বর বেশিদিন থাকলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে বলা হচ্ছে।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি মার্চের শেষ নাগাদ ভাইরাসের প্রকোপ কমে আসবে।

 

অনু/দীপ্ত সংবাদ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More