উজানের পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে যমুনার পানি বাড়ছে। পানি বৃদ্ধির কারণে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর, কালিহাতী, নাগরপুর ও মির্জাপুর উপজেলার অর্ধশত গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নদী তীরবর্তী হাজারো মানুষ।
স্থানীয়রা জানায়, চোখের সামনে নিমিষেই মির্জাপুর উপজেলা ফতেপুরে বানঘাটা থলপাড়া গ্রামের ঝিনাই নদীর পেটে চলে যাচ্ছে– বসত–ভিটা, ঘরবাড়ি ও ফসলি জমিসহ নানা স্থাপনা। ফলে ভাঙন কবলিত মানুষ নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। নদী ভাঙনের বাঁধ নির্মাণে শুধু আশ্বাস নয় পদক্ষেপ চায় নদীপাড়ের মানুষ ।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ জানান, স্থায়ীভাবে একটি বাঁধ তৈরি করা হবে। সময়ের অভাবে করতে পারেনি। নদীর পাড়ে অবস্থিত গ্রামের কম-বেশি অনেক বাড়ি-ঘর ভাঙছে। নদী ভাঙনের ফলে স্থানীয়দের প্রায় ১ কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (০৬ জুলাই) থেকেই জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলে ভাঙন প্রতিরোধ করা হচ্ছে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলে ভাঙন প্রতিরোধ করা হচ্ছে।
সুমন খান/ শায়লা/ দীপ্ত সংবাদ