তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ছাড়িয়েছে। এরমধ্যে এককভাবে তুরস্কে মারা গেছে ২৪ হাজার। আর সিরিয়ায় নিহত হয়েছে পাঁচ হাজার ১৮৯ জন। সময় যাওয়ার সাথে সাথে কমছে জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা।
৮০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার তুরস্ক, প্রতি ঘণ্টায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ভূমিকম্পের ৬ দিন পার হলেও এখনও শেষ হয়নি উদ্ধার কাজ। তীব্র ঠাণ্ডার সঙ্গে লড়াই করে দিন পার করছেন লাখ লাখ বাস্ত্যুচ্যুত মানুষ।
ভূমিকম্পের পর ১৪০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো উদ্ধারকারীরা আশা করছেন, তারা অনেককে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করতে পারবেন। স্থানীয় প্রশাসন পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাতায়ের রাজধানীর বিমানবন্দরটি চালু করবেন বলে জানিয়েছেন তুরস্কের হাতায় প্রদেশে কর্মরত আল জাজিরার সাংবাদিক বের্নার্ড স্মিথ
সিরিয়া ও তুরস্কে ক্ষতিগ্রস্ত ৮ লাখ ৭৪ হাজার মানুষের জন্য খাবার সরবরাহ করতে, ৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি–ডব্লিউএফপি। এ অর্থের জন্য দাতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা। তীব্র শীতের কারণে সিরিয়ার দুই লাখ ৮৪ হাজার এবং তুরস্কের পাঁচ লাখ ৯০ হাজার গৃহহীন মানুষের জন্য, গরম খাবার জরুরি বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
এদিকে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে বিদ্রোহী–নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোয় ‘পুরোপুরি বিপর্যয়কর’ পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে জানিয়েছে, দেশটির নাগরিক সুরক্ষা সংগঠন হোয়াইট হেলমেটস। তবে নানা বিধিনিষেধের কারণে সেখানে ত্রাণ পাঠানো কঠিন হয়ে পড়েছে। উদ্ধার কাজে ব্যবহৃত জরুরি যন্ত্রপাতির ঘাটতি রয়েছে। সেইসঙ্গে যানবাহন চালানোর জন্য জ্বালানি সঙ্কট তো আছেই।
আফ/দীপ্ত সংবাদ