গাজীপুরে পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদের নামে কেনা অনেক জমির মালিক–ই টাকা পাননি। কাউকে কাউকে দেওয়া হয়েছে নামমাত্র মূল্য। কারও কারও জমি দখল করা হয়েছে। এমনই অভিযোগ করেন জমির মালিকরা।
পাঁচ তারকা মানের ভাওয়াল রিসোর্টের শতকরা ২৫ ভাগের মালিকানা সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজির আহমেদের, গণমাধ্যমে এমন খবর এসেছে। অভিযোগ রয়েছে– এই মালিকানা পেতে কোনো অর্থ লগ্নি করতে হয়নি তাকে। গাজীপুরের বারইপাড়া মৌজার নীলজানি গ্রামে গড়ে তোলা এই রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা সেন্টারটির ওয়েবসাইটে জমির পরিমাণ উল্লেখ করা আছে ৩৫ একর।
ভাওয়াল রিসোর্ট এলাকা ঘুরে জানা গেছে, প্রধান ফটকের আশপাশ ও ভেতরের অনেক জমি বেনজীরের দাপটে, দখল করে নেওয়া হয়েছে। ক্ষমতা পুঁজি করে, বনের জমিও দখলে নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত জমির মালিকরা কোনো টাকা পাননি।
স্থানীয়দের দাবি, গাজীপুরের কালীগঞ্জের নাগরী ইউনিয়নের বেতুয়াটেক গ্রামে বেনজীর ও তার স্ত্রী–সন্তানদের নামে–বেনামে আছে প্রায় একশ বিঘা জমি। অভিযোগ রয়েছে, ভয় দেখিয়ে পানির দামে এসব জমি কিনে নেন সাবেক এই আইজিপি।
কালিগঞ্জে বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে কিছু জমির দলিলের সন্ধান মিলেছে বলে জানান, সাব–রেজিস্ট্রার।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, ভাওয়াল রিসোর্টে বন বিভাগের জমি রয়েছে। বিধি মোতাবেক উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার প্রস্তুতি চলছে।
বেনজীর আহমেদের ব্যাপারে সতর্ক থাকলে, ক্ষমতার এতটা অপব্যবহার হতো বলে মত বিশ্লেষকদের।
দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তরা যাতে রাজনৈতিক প্রশ্রয় না পান, সেদিকে সরকারের আরও কঠোর নজরদারি দরকার বলে মত এই বিশ্লেষকদের।
আল / দীপ্ত সংবাদ