যুদ্ধবিধ্বস্ত অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান থেকে ফেলা ত্রাণ বাক্সের নিচে চাপা পড়ে মুহান্নাদ জাকারিয়া ঈদ (১৫) নামে এক ফিলিস্তিনি কিশোর নিহত হয়েছে।
শনিবার (৯ আগস্ট) মধ্য গাজায় অবস্থিত নেটজারিম করিডোরের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার মধ্য গাজার নেটজারিম করিডোরের কাছে আকাশ থেকে ফেলা ত্রাণের প্যাকেট সরাসরি মুহান্নাদ জাকারিয়া ঈদের ওপর পড়ে।
আল জাজিরা যাচাইকৃত একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, স্থানীয়রা দুর্ঘটনার পর মুন্নাহাদের চারপাশ ঘিরে রেখেছে এবং তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন, তার মুখ রক্তাক্ত। এরপর তার ভাই তাকে কাঁধে করে ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে যায়।
অন্য একটি ফুটেজে দেখা যায়, আল–আওদা হাসপাতালে মুন্নাহাদের বাবা মরদেহ ধরে কাঁদছেন।
রয়টার্সকে ঈদের ভাই বলেন, ‘ক্ষুধার তাড়নায় আমার ভাই ত্রাণ নিতে গিয়েছিল। হঠাৎ বিমান থেকে একটি ত্রাণ বাক্স সরাসরি তার ওপর পড়ে এবং সে শহীদ হয়। তারা (যে দেশগুলো সাহায্য পাঠাচ্ছে) সীমান্ত দিয়ে সরাসরি সাহায্য দিতে পারছে না। তারা ওপর থেকে ত্রাণের বোঝা ফেলছে। এতে আমাদের শিশুরা মারা যাচ্ছে।’
এ ঘটনার পর আকাশ থেকে ত্রাণ বিতরণের কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জাতিসংঘ‘সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা বারবার সতর্ক করে দেয়ার পর সবশেষ এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
জাতিসংঘ বলছে, বিমান থেকে ফেলা বাক্সগুলো বিপজ্জনক, অকার্যকর এবং ব্যয়বহুল। সংস্থাটি ইসরায়েলের কাছে বারবার স্থলসীমান্ত দিয়ে নিয়মিত মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি চেয়েছে।
গাজা সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় তথ্যমতে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত আকাশ থেকে ফেলা ত্রাণের আঘাতে কমপক্ষে ২৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ১২৪ জন আহত হয়েছেন।
এসএ