প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, আদালত চত্বরে যারা বিচার পাবার আশায় আসেন তাদের পয়সায় আপনার আমার বেতন হয়। তারা যেন সুবিচার পায় সে বিষয়ে বিচার বিভাগে সংস্লিষ্ট সকলের খেয়াল রাখা উচিত। বিজ্ঞ বিচারকগণ একটি জিনিস মনে রাখবেন, বিচার ‘বিক্রির জিনিস‘ নয়। বিচার প্রার্থীদের ন্যায় বিচার পাওয়া সাংবিধানিক অধিকার।
বুধবার (৩ মে) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিতব্য ছায়াকুঞ্জের প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন ও নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন তিনি।
এর আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী (বার) ভবনে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী জেলার বিভাগীয় কর্মকর্তা ও আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনামূলক অভিভাষণে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় তিনি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামেন নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
প্রধান বিচারপতি বিচার বিভাগের সকল কর্মকান্ডে বিচারকগণ ও আইনজীবীগণ একই সুতোয় গাঁথা মালা উল্লেখ করে বলেন, আপনারা মনে রাখবেন বিচার যদি একটি পাখি হয় তবে বিচারকগণ সেই পাখির একটি ডানা এবং আইনজীবীগণ আরেকটি ডানা। এই দুইটি ডানা যদি সমান তালে না ঝপটাতে পারে তবে সেই পাখিটি উড়তে পারে না। ঠিক একইভাবে আপনাদের মাঝে যদি সমন্বয় না থাকে তবে সাধারণ মানুষের ন্যায় বিচার পেতে বেশ বেগ পেতে হবে ও দীর্ঘ মামলাজট দেখা দেবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের কর্মকান্ডের প্রসংশা করে তিনি বলেন, গত বছর ২০২২ সালে আপনারা ১৬৩ শতাংশ মামলা নিষ্পত্তি করেছেন। এবছর সেই ধারা যদিও কিছুটা কমেছে তবে যেই ধারা চলমান আছে তা সন্তোষ জনক। চলতি বছরে শতকরা ১৩১ শতাংশ মামলা নিস্পত্তি হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, এই ধারা যদি অব্যাহত থাকে তবে অচিরেই মামলা জট থেকে বিচার প্রার্থীরা রেহাই পাবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেল মো. গোলাম রাব্বানী, উচ্চ আদালতের রেজিস্টার মুন্সি মশিয়ার রহমান, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আসসামছ জগলুল হোসেনসহ নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন আদালতের বিচারকগণ। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, আইনজীবী সমিতির সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক মুন্সি মোহসীন মিঞা প্রমুখ।
এমি/দীপ্ত সংবাদ