বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
তার ব্যক্তিগত সচিব নুরুল আজিম হিরু জানান, ভোরে ধানমন্ডির নিজ বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন আবদুল্লাহ আল নোমান। দ্রুত স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চট্টগ্রামের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা এই নেতা ১৯৯১ সালে কোতোয়ালি আসন থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং মৎস্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। ২০০১ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
ষাটের দশকে ছাত্র রাজনীতিতে যুক্ত হন নোমান। হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ছাত্র ইউনিয়নের মেননপন্থী অংশে সক্রিয় হন। চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক, বৃহত্তর চট্টগ্রামের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
ছাত্রজীবন শেষে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে শ্রমিক রাজনীতিতে যুক্ত হন তিনি। পূর্ববাংলা শ্রমিক ফেডারেশনের সহসভাপতি ছিলেন এবং গোপনে ন্যাপের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৭০ সালে ন্যাপের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
স্বাধীনতার পর ন্যাপের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও ১৯৮১ সালে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে (বিএনপি) যোগ দেন এবং পরবর্তী সময়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।