বাংলাদেশ– ভারত লড়াইয়ে আম্পায়ারিং বিতর্ক নতুন কিছু না। ভারত ম্যাচে আম্পায়ারিং বিতর্কও যেন পরিচিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২০১৫ বিশ্বকাপে মেলবোর্নে কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে রুবেল হোসেনের ‘নো বল’ হওয়া না–হওয়া নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক ছিল গত টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচেও। বৃষ্টি না থামতেই মাঠকর্মীরা অনেক চেষ্টা চালাচ্ছিলেন মাঠ দ্রুত শুকিয়ে ফেলতে। অবিরত বৃষ্টিতে এ চেষ্টা অবশ্য খুব একটা কাজে দিচ্ছিল না। বৃষ্টিতে ৫২ মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পর আম্পায়াররা যে সময়ে খেলা শুরু করলেন, মাঠ ভালোভাবে শুকাতে আরও সময় নেওয়া যেত কি না—এ প্রশ্ন উঠেছে।
এবার ইমার্জিং এশিয়া কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে প্রথম ইনিংসের ১৪তম ওভারে নিজের কোটার প্রথম ওভার করতে এসেছিলেন রাকিবুল। প্রথম তিন বলেই পরাস্ত হন ভারতীয় ব্যাটার নিকিন জস। চতুর্থ বলটিতে এগিয়ে এসে কিছুটা রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে গিয়েছিলেন নিকিন। বল ব্যাট মিস করে গেছে। উইকেটের পেছনে বুদ্ধিদীপ্ত স্টাম্পিং করেন আকবর।
খালি চোখে বা জুম ইন করে যতটুকু দেখা যাচ্ছে, স্টাম্পিংয়ের সময়ে ব্যাটারের পা গ্রাউন্ডেড ছিল না! আর তাই সিদ্ধান্ত জানাতে খুব বেশি রিভিউয়েরও দরকার পড়ে না। থার্ড আম্পায়ার ফয়সাল আফ্রিদিও কয়েকবার বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলে দেখে আউটের সিদ্ধান্ত দিয়ে দেন। ততক্ষণে উদযাপন শুরু করে দিয়েছেন সাইফ হাসানের দল। ব্যাটসম্যান নিকিনও ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন।
মাঠের অনফিল্ড আম্পায়ার ব্যাটারকে দাঁড়াতে বলেন। কয়েক সেকেন্ড পর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে নট আউটের সবুজ সিগন্যাল দেন টিভি আম্পায়ার! এমন ঘটনাই ঘটল আজ।
আল/ দীপ্ত সংবাদ