আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার প্রশিক্ষিত কর্মী নেবে জাপান। শুধু কর্মী নিয়োগই নয়, বাংলাদেশিদের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য ঢাকায় একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করবে বন্ধুপ্রতীম এই দেশ। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দুটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানান।
প্রেস সচিবের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ‘মানবসম্পদ বিষয়ক বাংলাদেশ সেমিনারে’ জাপানের ন্যাশনাল বিজনেস সাপোর্ট কম্বাইন্ড কোপারেটিভসের চেয়ারম্যান মিকিও কেসাগায়ামা জানান, তাদের সদস্যভুক্ত জাপানি কোম্পানিগুলোর একটি বড় গ্রুপ বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ প্রশিক্ষিত কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা নিয়েছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এসব কর্মী নিয়োগ দেয়া হবে।
তিনি আরও জানান, শুধু এই গ্রুপ নয়, জাপানের অন্যান্য কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকেও কয়েক হাজার দক্ষ বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রশিক্ষণের মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকায় একটি আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনে সম্মত হয়েছে জাপান। এ সম্পর্কেও একটি পৃথক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি শ্রমিকদের জাপানি ভাষা, সংস্কৃতি, প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও নির্দিষ্ট খাতভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান করবে।
জাপানে আয়োজিত নিক্কেই সম্মেলনে যোগ দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাপানি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। সম্মেলনে তিনি বাংলাদেশের তরুণ ও দক্ষ শ্রমশক্তির সম্ভাবনা তুলে ধরেন এবং শিল্প ও প্রযুক্তি খাতে যৌথ উদ্যোগের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
বুধবার (২৮ মে) স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৫ মিনিটে জাপানে পৌঁছান ড. ইউনূস। টোকিও বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী। এর আগে মঙ্গলবার (২৭ মে) রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিনি জাপানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।