বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে জাপানের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিগত বছরগুলোতে এ দেশের উন্নয়নে সহায়তা অব্যাহত রাখার জন্য দেশটিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি বুধবার (২৬ এপ্রিল) আকাসাকা প্যালেস গেস্ট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক কক্ষে শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় শেখ হাসিনা বলেন বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতির জন্য জাপানের টেকসই এবং উদার সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
আর এ বৈঠকে উভয় নেতাই বলেন, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বন্ধুত্ব দিন দিন সুদৃঢ় হচ্ছে। আর শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও জাপান অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উপভোগ করছে এবং বর্তমানে এই বন্ধুত্ব দিন দিন মজবুত হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে গৃহীত বড় বড় উন্নয়ন উদ্যোগে জাপানের অবদান স্পষ্ট। রূপকল্প–২০৪১ অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ পরিণত করতে জাপানের অব্যাহত সহায়তা ও সহযোগিতার ওপর বাংলাদেশ নির্ভর করছে।
এ সময় তিনি এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের জন্য এবং আইএমও মহাসচিব পদে আগামী ১৭–১৮ জুলাই, ২০২৩ লন্ডনে অনুষ্ঠিতব্য সংস্থার আসন্ন সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রার্থিতার প্রতি জাপানের সমর্থন চেয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাপানের উন্নয়নের মডেলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশকে গড়ে তুলেছিলেন। বঙ্গবন্ধু জাপানের উন্নয়ন মডেলের একজন প্রবল অনুরাগী ছিলেন এবং তিনি জাপানের অভিজ্ঞতা দিয়ে নিজের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়তে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর ১৯৭৩ সালের ১৮–২৪ অক্টোবর জাপানে সরকারি সফরের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই সফর আজকের বাংলাদেশ–জাপান সম্পর্কের দৃঢ় ভিত্তিস্থাপন করেছে। বাংলাদেশ ও জাপান অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উপভোগ করছে এবং বর্তমানে এই বন্ধুত্ব দিন দিন মজবুত হচ্ছে।’
শেখ হাসিনা এবং জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উভয়েই দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন। উভয় নেতা বলেন, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বন্ধুত্ব দিন দিন সুদৃঢ় হচ্ছে।
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কৃষি, শিক্ষা, আইসিটি ও স্বাস্থ্যসহ প্রতিটি খাতে বাংলাদেশের বর্তমান উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এফএম/দীপ্ত সংবাদ