১৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে কোকা–কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস লিমিটেডকে (সিসিবিবি) কিনে নিয়েছে তুরস্কের কোকা–কোলা আইসেক (সিসিআই)। কোকা–কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস লিমিটেড দেশে কোক ব্র্যান্ডের পানীয় উৎপাদন, বিক্রয় ও বিতরণ করে থাকে।
১৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে কোকা–কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস লিমিটেডকে (সিসিবিবি) কিনে নিয়েছে তুরস্কের কোকা–কোলা আইসেক (সিসিআই)। কোকা–কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস লিমিটেড দেশে কোক ব্র্যান্ডের পানীয় উৎপাদন, বিক্রয় ও বিতরণ করে থাকে।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সিসিআইয়ের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা বিবৃতির তথ্য মতে, কোকা–কোলা আইসেক সিসিবিবির প্রাক্কলিত নিট আর্থিক ঋণ বিয়োগ করে ১৩০ মিলিয়ন ডলার বা ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার বেশি নেট মূল্যে ১০০ শতাংশ শেয়ার অধিগ্রহণ করবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘ক্লোজিং অডিট শেষে সমাপ্তির তারিখ থেকে সিসিবির সঠিক নেট আর্থিক ঋণের পরিমাণ নির্ধারণ ইক্যুইটি মূল্য একটি পোস্ট–ক্লোজিং মূল্য সমন্বয় প্রক্রিয়া সাপেক্ষে হবে।‘
ধারণা করা হচ্ছে, সিসিআই ইন্টারন্যাশনাল হল্যান্ড বিভি (সিসিআইএইচবিভি) এই অধিগ্রহণে নগদ অর্থায়ন করবে।
ঘোষণা অনুযায়ী, সিসিআই তার সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সাবসিডিয়ারি সিসিআইএইচবিভি ও কোকা–কোলা কোম্পানির একটি সাবসিডিয়ারির সঙ্গে এই চুক্তি করেছে। যার প্রধান শেয়ারহোল্ডার হবে সিসিআইএইচবিভি।
কোকা–কোলা কোম্পানির সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল বেভারেজেস প্রাইভেট লিমিটেড (আইবিপিএল) ২০১৭ সালে ৭৪ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে ময়মনসিংহের ভালুকায় কারখানাটি স্থাপন ও অন্যান্য অবকাঠামো গড়ে তোলে। তার সাত বছর পর সিসিবিবি ইস্তাম্বুলভিত্তিক কোম্পানিতে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে।
দেশের কোমল পানীয়ের বাজার ৪ হাজার কোটি থেকে ৬ হাজার কোটি টাকা। যুক্তরাষ্ট্রের দুই কোমল পানীয় প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠান কোকা–কোলা ও পেপসিকোর পাশাপাশি প্রাণ, আকিজ ও পারটেক্সের মতো বেশ কয়েকটি স্থানীয় প্রতিষ্ঠান এই চাহিদা পূরণ করে।
সিসিআইয়ের মতে, ২০৩২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের নন–অ্যালকোহলিক কোমল পানীয়ের বাজার ১২ শতাংশ বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এজে/দীপ্ত নিউজ