সোমবার, জুলাই ৭, ২০২৫
সোমবার, জুলাই ৭, ২০২৫

বরগুনায় সেনা সদস্য ছেলের বিরুদ্ধে মায়ের মামলা

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

বরগুনায় বৃদ্ধা মায়ের ভরণপোষণ না দেয়ায় ও জমিজমা আত্মসাতের অভিযোগে সেনা সদস্য সন্তানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বরগুনা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেছেন সদর উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের জেলখানা গ্রামের মৃত খবির মুসুল্লীর স্ত্রী মোসা. হাসিনা বেগম।

মামলার আসামি মো. আল আমিন হাসিনার আপন ছেলে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন সদস্য। শনিবার (২০ মে) বিকালে বাদীর আইনজীবী অ্যাড. হাবিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বাদীকে তার ছেলে ভরনপোষণ না দিয়ে বিভিন্ন সময় নির্যাতন ও স্বামীর জমিজমা থেকে বঞ্চিত করে কৌশলে তা আত্মসাৎ করে নিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয়। এ অভিযোগে বুধবার (১৬) বরগুনা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাদী হয়ে ছেলে আল আমিনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন মা হাসিনা বেগম। বৃহস্পতিবার আদালত মামলাটি আমলেও নিয়েছে। আশাকরি শীঘ্রই আদালতের মাধ্যমে বাদী তার ন্যায় বিচার পাবেন।

বাদী হাসিনা বেগম বলেন, আমাত স্বামীর মৃত্যুর পরে জমিজমা বর্গা চাষ করে আমি জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলাম। সকল জমিজমা কৌশলে আমার ছেলে তার নামে দলিল করে নিয়ে এখন আমাকে চিকিৎসাসহ ভরনপোষণ থেকে বঞ্চিত করছে। আমি বৃদ্ধ মানুষ, ভরনপোষণ ও জমি ফেরত চাওয়ায় আমাকে মারধর করে আমার ছেলে ও তার স্ত্রী আমাকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। তাই বিচার চেয়ে আমি এ মামলা করেছি।

অবশেষে হাসিনা বেগমের ঠাই হয়েছে বড় মেয়ের জামাই বাড়িতে। সেখান থেকেও তুলে নিতে পায়তারা করছেন ছেলে আল আমিন।

এ বিষয় জানতে যোগাযোগ করা হলে হাসিনা বেগমের ছেলে সেনা সদস্য মো. আল আমিন মুঠোফোনে বলেন, আমি ব্যস্ত আছি। এ বিষয় আমি বক্তব্য দিতে পস্তুত না। পরে আপনাকে জানাবো।

এ ব্যাপারে এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অ্যাড. নাজমুল ইসলাম নাসির বলেন, আমি খোঁজখবর নিয়েছি ঘটনা সত্য।যে মা গর্ভে ধারণ করেছে সেই মায়ের সাথে কোনরকমই এমনটা করতে পারে না। আল আমিন চরম অন্যায় করেছে । তার বিচার হওয়া উচিত।

আল/দীপ্ত সংবাদ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More