ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব বই ও কপিরাইট দিবস উপলক্ষে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের উদ্যোগে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে এ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) সদস্য অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক। আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন ও খান মাহবুব। সভার সভাপতিত্ব করেন বিশসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ।
বিশ্ব বই ও কপিরাইট দিবসে খান মাহবুব বইয়ের মেধাস্বত্তকে একটি সম্পদ বলে অভিহিত করেন। আইন ছাড়াও সবার মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই সম্পদকে রক্ষা করতে হবে। নৈতিক ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য এটা রক্ষা করা জরুরি বলে জানান তিনি।
বিশ্ব বই ও কপিরাইট দিবসের সভার মুখ্য আলোচক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, বইয়ের মাধ্যমে পৃথিবীকে নতুনভাবে দেখা যায় বা কল্পনা করা যায়। যারা বই পড়েন, তারা চিন্তাশীল হন। একটি সুন্দর বই একজন মানুষের মনোজগতকে পরিবর্তন করে দিতে পারে। তাই আগামী প্রজন্মকে বইমুখী করার উদাত্ত আহবান জানিয়ে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে বিশসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিনতম কাজের মধ্যে একটা হল বই পড়া। পৃথিবীকে মানুষ যতটা গভীরভাবে জেনেছে, সুন্দরভাবে উপলব্ধি করেছে, তা কবিতায়, গানে, সাহিত্যে প্রকাশ করেছে। এ কারণে অনেক সময় বাস্তবের পৃথিবী চেয়ে বইয়ের পৃথিবী অনেক সুন্দর হয়ে উঠেছে। মাধ্যম বদলাবে কিন্তু বইয়ের আবেদন কখনো শেষ হবে না। বই আমাদের পড়তেই হবে। এভাবে বই পড়ার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মনিটরিং অফিসার বিকাশ চক্রবর্ত্তী জানান, অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশসাহিত্য কেন্দ্রের যুগ্ম–পরিচালক মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সুমন।
সুপ্তি/ দীপ্ত সংবাদ